সরজমিন সাফারি পার্ক -৫:”শিশু পার্কের বেশিরভাগ রাইড অচল” নামাজ ঘরে বন জঙ্গলে !

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি জাতীয়


রাতুল মন্ডল সাফারি পার্ক থেকে ফিরে: শিশুদের চিত্তবিনোদনের কথা মাথায় রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের বিশাল এলাকা নিয়ে বিভিন্ন রাইড এর সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে শিশু পার্ক। কিন্তু পার্ক কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে পার্কের বেশিরভাগ রাইড এখন অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে যেগুলো চলমান সেগুলোর অবস্থা তেমন ভালো নেই।

শিশু পার্কের ভিতরে এক পাশে ছিল ছোট্ট একটি নামাজ ঘর। কিন্তু অযত্ন আর অবহেলার কারণে সেটিও বন-জঙ্গলে ডেকে গেছে ইতিমধ্যে। এখনও শুধু নেমপ্লেটে ঝুলছে নামাজের স্থান।

যার কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আসা দর্শনার্থীরা তাদের সন্তানদের ঠিকমতো বিনোদন দিতে পারছে না। এতে করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে অনেক দর্শনার্থী । শিশুরাও চিত্তবিনোদনের থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জানাযায়, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে শিশুদের চিত্তবিনোদনের কথা মাথায় রেখে ও তাদের চিত্তবিনোদনের জন্য ছোট বড় মিলিয়ে মোট ১১টি রাইট এর সমন্বয় তৈরি করেছিলেন শিশু পার্কে। কিন্তু অযত্ন আর অবহেলার কারণে এরইমধ্যে ৫টি রাইড অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। আর যে ৬টি চলমান এগুলোর অবস্থাও তেমন ভালো নই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের জুনায়েদ এন্টারপ্রাইস এর টিকেট কালেক্টর মোহাম্মদ রাকিব মিয়া জানান, পার্কের বেশিরভাগ রাইটস দীর্ঘদিন থেকে থেকে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে।

দীর্ঘ সময় ধরে অচল হয়ে পড়ে থাকা রাইড গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, পেন্ডুলিয়া, প্যারাশিপ, নাগরদোলা, শান্তা মারিয়া।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বেড়াতে আসা আলী হোসেন জানান তার অভিজ্ঞতা তিনি বলেন, পার্কটি বাইরে থেকে বেশ পরিচ্ছন্ন মনে হলো৷ ভেতরে শিশুদের নানারকম রাইডও আছে কিন্তু এর বেশ কয়েকটা অচল৷ কিন্তু যেগুলো সচল ব্যবহার করতে গেলে দেখা যায় নানা বিড়ম্বনা৷ দাদাদাদির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া দুই শিশুকে পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে বুঝলাম রাইডগুলোর অবস্থা বেশ নাজুক৷ কোনোটাতে ব্যাটারি নেই, কোনোটা নিয়মিত ব্যবহার করা হয় না বলে ময়লার আবরণে ঢাকা পড়ে গেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সহকারী বন সংরক্ষক মো. তবিবুর রহমান বলেন, শিশুদের চিত্তবিনোদনের কথা চিন্তা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিশু পার্কের অচল রাইড গুলো সংস্কার করে সচল করা হবে। যাতে করে পার্কে আসা দর্শনার্থীরা তাদের সন্তানদের সঠিক বিনোদন দিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *