পিলখানা হত্যা মামলা: ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়

Slider জাতীয় বাংলার আদালত


ঢাকা: পিলখানা হত্যা মামলায় ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় (ডেথ রেফারেন্স ও আপিল) প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার সকালে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।

রায় প্রকাশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছেন, আজ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলো। রায়ের পর্যালোচনায় একাধিক দিকনির্দেশনা রয়েছে। রায়ে পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে অন্যতম পরিকল্পনাকারী ডিএডি তৌহিদসহ ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখা হয়। পাশাপশি ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৯৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ৪৯ আসামি।

যারা খালাস পেয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করা হবে।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রায়ের পর্যালোচনায় পিলখানার ঘটনার পরে প্রধানমন্ত্রীর তৎপরতা সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে সারাদেশে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়ত।

এর আগে ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ মামলার সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন। দুই বছরেরও বেশি সময় পর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলো। এটিই দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক সংখ্যক আসামির ফাঁসির আদেশ সংবলিত রায়।

নিয়ম অনুযায়ী এখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে উভয়পক্ষ আপিল করতে পারবে। আপিল নিষ্পত্তির মধ্য দিয়ে চূড়ান্তভাবে বিচার শেষ হবে। এরপর রিভিউ আবেদন ও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়টি থাকবে।

এ হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আখতারুজ্জামান বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ১৫২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন বিচারক।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান মোট ৭৪ জন। ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ম্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক নবজ্যোতি খিসা। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *