ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার সেই এসআই কারাগারে

Slider জাতীয় বাংলার মুখোমুখি

বিয়ের প্রলোভন ও ভীতি প্রদর্শন করে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রকিব খান বাপ্পীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন শেরেবাংলা নগর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে বাপ্পীর পক্ষে আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী জামিন শুনানির জন্য ৭ই জানুয়ারি দিন ধার্য করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল রাতে এক তরুণীর দায়ের করা মামলায় (নম্বর-০২) শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করে। মামলায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ এবং ভিডিও ধারণ করে সামাজিক সম্মান ক্ষুণ্ন করার ভীতি প্রদর্শন করে পুনঃধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওই তরুণী।

অভিযুক্ত আবদুর রকিব খান বাপ্পী মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তারাইলে।

এদিকে, ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী তরুণীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগ, বাপ্পী গত আড়াই বছর আগে এসআই হিসেবে পুলিশে যোগ দেন। কিন্তু তাদের মধ্যে গত ৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে।
এরমধ্যে এসআই বাপ্পী একাধিকবার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন। কিন্তু সম্প্রতি বিয়ে না করার জন্য টালবাহানা করছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকালে এসআই বাপ্পী আগারগাঁও এলাকার একটি বাসায় তরুণীকে ডেকে নেন। সেখানে গেলে কিছু গোপন ভিডিও দেখান এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। সেখান থেকে ৯৯৯ নম্বরে কল করে তরুণী শেরেবাংলা নগর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত বাপ্পীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ। এরপর দিনভর অভিযুক্তর পরিবারের পক্ষ থেকে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। সবশেষ তরুণীর অনড় অবস্থানের কারণে রাতে মামলা দায়ের করা হয়।

শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুনসি বৃহস্পতিবার রাতে জানান, মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *