মা প্রধানমন্ত্রী আমরা পড়তে চাই, বই দিন

Slider জাতীয় রংপুর শিক্ষা

SAMSUNG CAMERA PICTURES

এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরর বীরগঞ্জের বড়কলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রীরা উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নির্দ্দেশে বই উৎসবের নতুন বই না পেয়ে দিশেহারা হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বই চেয়ে আকুল আবেদন করেছেন, অভিভাবক ও শিক্ষকেরা পড়েছে বিপাকে।

বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নে বড়কলা এল.এস.এস বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ১ জানুয়ারি বই বিতরন অনুষ্ঠানের দিন বই না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ার সংবাদ পেয়ে, ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক জিন্নাতুন নেছা জানায়, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ লুথারেন মিসন এর (বি.এল.এম.ডি) প্রকল্পের অর্থায়নে বড়কলা এল.এস.এস বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি চালু করা হয়। প্রকল্পের অর্থায়নের কারনে তাহা বন্ধ হয়। পরে এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বি.এল.এম.ডি কতৃপক্ষ বিদ্যালয়টি এলাকাবাসীর নিকট হস্তান্তর করলে ২০০৯ সাল হতে নিয়োমিত ক্লাস করা হচ্ছে বিদ্যালয়টিতে এবং ২০১৫ সাল হতে সমাপনি পরিক্ষা ডিআর ভুক্ত হয়। ২০১৯ সালে বিদ্যালয়ের ১১ জন পরীক্ষার্থী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন এবং সকলেই পাশ করে। বর্তমানে শিশু হতে ৫ম শ্রেনী পযর্ন্ত প্রায় ৯০/৯৫ জন ছাত্র/ছাত্রী অধ্যায়নরত রয়েছে। ২০২০ সালের বই পাওয়ার লক্ষে পূর্বের ন্যায় অনলাইনে চাহিদা পত্রে দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করিলে সহকারী শিক্ষা অফিসার পরিতোশ রায় জানায়, উপজেলা নিবার্হী অফিসার এর নির্দ্দেশে বই দেওয়া বন্ধ রয়েছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার এর সাথে যোগাযোগ করলেই তিনি অযথা হয়রানী করে।

বিদ্যালয়ের সভাপতি অভয় সরকার জানায়, একটি পক্ষ বিদ্যালটি বন্ধ করার সড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে বিভিন্ন অপকর্মের কারনে ২ পক্ষেরই হতে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে তবে বিদ্যালয়ের পাঠদান, বই উত্তলন, বই বিতরন সহ স্কুলের শিক্ষা কার্য্যক্রমে যেনো বিঘœ না হয় সেই জন্য জেলা দিনাজপুর বীরগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে ১৫১ ধারার অন্তবর্তী কালীন নিষেধাজ্ঞার ১টি মামলা রয়েছে। যাহার নং ৭৫/২০১৯ অন্য এবং ধার্য্য তারিখ ৭/০১/২০২০ ইং। আমরা বই পাওয়ার লক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করিলে শিক্ষা অফিসার, সহকারি শিক্ষা অফিসার ও অফিস কতৃপক্ষ বই দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার এর নির্দ্দেশে বই দেওয়া বন্ধ রয়েছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার বই দেওয়া বন্ধ নির্দ্দেশ দিয়ে বিজ্ঞ আদালতকে অবমাননার সামিল।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার ইয়ামিন হোসেন জানায়, আমি বই দেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে ডেকেছি তবে তিনি নিজে না এসে সভাপতিকে পাঠায়।

অভিভাবক সদস্য যতিষ চন্দ্র রায়, ধলারাম রায়, ভবানী চন্দ্র রায় জানায়, প্রায় ৩/৪ কিঃ মিঃ এর মধ্যে কোন বিদ্যালয় না থাকায় এলাকার শিশুদের জন্য বিদ্যালয়টি চালু রাখা অত্যান্ত জরুরী। এই বিদ্যালয় হতে বেশকিছু ছাত্র/ছাত্রী পাশ করে অন্যত্র পড়ালেখা করছে। বিদ্যালটি বন্ধ করে জমিটি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার নির্দেশে বই উৎসবের নতুন বই পাওয়ার জন্য তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দিনাজপুর-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল এর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *