সিরাজগঞ্জ: প্রথম দফায় প্রকাশিত রাজাকার তালিকায় মুক্তিযুদ্ধকালীন সিরাজগঞ্জের বেসরকারি সাব সেক্টর পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক প্রয়াত আব্দুল লতিফ মির্জার নাম থাকায় প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জ। জেলা সদর, তাড়াশ, কামারখন্দ ও উল্লাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ পালন মহাসড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে প্রতিবাদের ঝড়। প্রকাশিত তালিকায় সিরাজগঞ্জের ৭২জনের নাম রয়েছে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ও ২ বারের সাবেক এমপি এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি আব্দুল লতিফ মির্জা এবং জেলা জাসদের সাবেক সভাপতি এ্যাডঃ মুক্তিযোদ্ধা খুরশিদ আলমের নাম রয়েছে।
বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের চৌরাস্তা প্রেসক্লাব মোড়ে লতিফ মির্জা স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি গাজী মির্জা ফারুক আহম্মেদের সভাপতিত্বে দেড়ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি চলাকালে জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, জাসদ নেতা আবু বকর ভুইয়া, মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিম রেজা নূর দীপু, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক ও লতিফ মির্জা স্মৃতি পরিষদের যুগ্ন আহবায়ক কাইয়ুম আহম্মেদ পান্না বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের এমপি প্রফেসর হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি বলেন, সিরাজগঞ্জের চিহিৃত রাজাকারদের নাম বাদ দিয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক লতিফ মির্জার নাম তালিকাভুক্ত করে সিরাজগঞ্জকে কলংকিত করা হয়েছে।