জাভা সাগর থেকে ৪০টির বেশি মরদেহ উদ্ধার

সারাবিশ্ব

553b94d49ec0c960cb5aaeb3fc3af663-tag-reuters--1-

টিভিতে জাভা সাগরে এক লাশ ভাসার দৃশ্য দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনেরা। ছবিটি জুয়ান্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত ক্রাইসিস সেন্টার থেকে তোলা। ছবি: রয়টার্সজাভা সাগর থেকে ৪০টির বেশি মরদেহ উদ্ধার করেছে ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ বিমানের সন্ধানে তল্লাশি চালানো উদ্ধারকারী দল। আর এ সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর মুখপাত্র মারাহান সিমোরাংকির। ধারণা করা হচ্ছে, মরদেহগুলো নিখোঁজ বিমানের যাত্রীদের। আজ মঙ্গলবার এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইন্দোনেশিয়ার অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা সংস্থার প্রধান বামবাং সোয়েলিসতিয়ো জাকার্তায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বোর্নিও দ্বীপের কালিমানতা প্রদেশের পাংকালান বান শহরের ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বিমানবাহিনীর একটি উড়োজাহাজ থেকে উদ্ধারকর্মীরা সাগরতলে বিমানের আদলে একটি ছায়ার মতো জিনিস দেখতে পান। এ ছাড়া একটি বস্তু ভাসতে দেখেন। তাঁরা ধারণা করেন ভাসমান ওই বস্তুটি একটি মৃতদেহ। এর পরপরই উদ্ধারকাজে নিয়োজিত সবাই সেই এলাকায় অনুসন্ধানে বেশি মনোযোগ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাগরে ভাসমান বস্তুর সেই ফুটেজ দেখানো হয়। ফুটেজ টেলিভিশনে দেখে সুরাবায়া শহরে বিমানের নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনেরা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় একজন অচেতন হয়ে পড়লে তাঁকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হয়।বোর্নিও দ্বীপের কালিমানতান প্রদেশের পাংকালান বান শহর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে জাভা সাগরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখেন এক উদ্ধারকর্মী। এর পরই ওই এলাকায় উদ্ধারকাজ জোরদার করা হয়। তাঁরা ৯৫ শতাংশ নিশ্চিত হন যে ওই মরদেহ নিখোঁজ বিমানের যাত্রীর। ছবি: রয়টার্স
গত রোববার ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া শহর থেকে ১৬২ জন আরোহী নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল এয়ার এশিয়া ইন্দোনেশিয়ার ফ্লাইট কিউজেড ৮৫০১। ওই দিন ভোর ৬টা ২০ মিনিটে যাত্রাপথের প্রায় মাঝামাঝি গিয়ে নিখোঁজ হয় এটি। ওড়ার ঘণ্টা খানেক পর এয়ারবাস কোম্পানির এ৩২০-২০০ উড়োজাহাজটির সঙ্গে বিমান নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে এটি থেকে কোনো বিপদসংকেত আসেনি।
এয়ার এশিয়ার অতিরিক্ত প্রধান নির্বাহী টনি ফারন্যানদেস এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। সুরবায়াতে যাওয়ার পথে তিনি তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘বিমানে থাকা যাত্রীদের পরিবারের জন্য আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *