টঙ্গীতে স্পিনিং মিলে আগুন

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা

টঙ্গী: বৃহস্পতিবার বিকেলে টঙ্গীর ভাদাম এলাকায় এনোনটেক্স শিল্প গোষ্ঠীর লামিছা স্পিনিং মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিকেল পৌনে ৪টায় আগুনের সূত্রপাত হওয়ার তিন ঘণ্টা পর তা নিয়ন্ত্রণে আসে।

কারখানার ১ নং স্পিনিং সেকশনের সুপারভাইজার ফুলু মিয়া জানান, তারা কিছু একটা পোড়ার গন্ধ পেয়ে কারখানার ভেতরে অনুসন্ধান চালান। তারা হঠাৎ দেখতে পান ওপরে শেটের নিচ থেকে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। কারখানার নিজস্ব ব্যবস্থায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালান। কিন্তু তারা ব্যর্থ হন।

এসময় দমকল বাহিনীতে খবর দেয়ার হয়। খবর পেয়ে একে একে টঙ্গী, গাজীপুর, উত্তরা, বারিধারা ও কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশন থেকে প্রায় ১৩টি ফায়ার ইউনিট এসে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। এসময় কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ও এলাকাবাসী দমল বাহিনীর কর্মীদেরকে আগুন নেভানোর কাজে সহায়তা করে। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় এবং ততক্ষণে কারখানার সমস্ত মালামাল ও মেশিনপত্র পুরে যায়।

ধোঁয়ার তীব্রতার কারণে কারখানার ভেতরে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করতে পারছিলেন না উদ্ধারকর্মীরা। তবে কোন হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। কারখানাটি তুরাগ নদীর আশুলিয়া ধৌর ল্যান্ডিং স্টেশনের উত্তর পাশে নদীর তীরবর্তী অবস্থিত হওয়ায় পানির জন্য কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি দমকল বাহিনীর কর্মীদের। অগ্নিকাণ্ডে ধোঁয়ার কুণ্ডলি দূর থেকে দেখা যাচ্ছিল। পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। আগুনের ভয়াবহতা এতটাই বিস্তার লাভ করে যে, স্পিনিং মিলের পুরো এলাকা আগুনে গ্রাস করে ফেলে। কারখানাটির পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ৩০০ মিটার এবং উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ১০০ মিটার আয়তন বিশিষ্ট শেটের সমস্ত মালামাল-মেশিনপত্র আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ ও দমকল বাহিনী। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে তারা ধারণা করছেন।

টঙ্গী তুরাগ নদীর উত্তর তীরে টঙ্গীর শেষপ্রান্তে অবস্থিত বিশাল আয়তনের এই কারখানাটিতে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক তিন শিফটে কাজ করতো। যখন আগুন লাগে তখন কারখানাটিতে শ্রমিকরা কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *