দিনশেষে ভারতের সংগ্রহ ১৭৪/৩

Slider খেলা জাতীয়

Bangladesh’s Ebadot Hossain (R) celebrates the dismissal of India’s Rohit Sharma during the first day of the second Test cricket match of a two-match series between India and Bangladesh at The Eden Gardens cricket stadium in Kolkata on November 22, 2019. (Photo by Dibyangshu SARKAR / AFP) / IMAGE RESTRICTED TO EDITORIAL USE – STRICTLY NO COMMERCIAL USE

খেলা: ইডেনে ১৭৪/৩ সংগ্রহ নিয়ে ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা শেষ করলো ভারত। দিনশেষে বিরাট কোহলি ৫৯ এবং আজিঙ্কা রাহানে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। প্রথম ইনিংসে ৬৮ রানে এগিয়ে ভারত। বাংলাদেশের বল হাতে পেসার ইবাদত হোসেনের দুই ও আল আমিন হোসেনের শিকার এক উইকেট।

ইন্দোর টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে শুরুতেই ফেরান আল আমিন। তার করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারে স্লিপে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়েন আগারওয়াল। ২১ বলে ১৪ রান করেন তিনি। সেই আল আমিনই চা বিরতির আগে রোহিতের ক্যাচ ছাড়েন। ৩৫/১ নিয়ে বিরতিতে যায় ভারত।
তবে তৃতীয় সেশনের শুরুতেই রোহিতকে তুলে নেন ইবাদত হোসেন। তাকে এলবির ফাঁদে ফেলেন ইবাদত। ৩৫ বলে ২১ রান করেন রোহিত।

বিরাট কোহলির সঙ্গে জুটি গড়ে রান বাড়াচ্ছিলেন চেতেশ্বর পূজারা। তুলে নেন ফিফটি। অবশেষে দলীয় ১৩৭ রানে তাকে ফেরালেন ইবাদত হোসেন। ৫৫ রান করা পূজারার ক্যাচ নেন স্লিপে দাঁড়ানো ফিল্ডার সাদমান ইসলাম। তৃতীয় উইকেটে ৯৪ রানের জুটি ভাঙে। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দ্রুততম ৫০০০ রান পূর্ণ হয়েছে কোহলির।

টসে জিতে ব্যাংটিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ইন্দোরের মতো ইডেন গার্ডেন্সেও ব্যাটিং ধস নামে। ১৪.২ ওভারে ৬০ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। এর মধ্যে শূন্য রানে ফেরেন ৩ জন- মুমিনুল, মুশফিক ও মিঠুন। দলীয় ১৫ রানে ইমরুলের বিদায়। ১৫ বলে ৪ রান করে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার। ইন্দোরে প্র্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে ১২ রান (৬+৬) করেছিলেন তিনি।

ইশান্ত শর্মার করা সপ্তম ওভারের প্রথম বলে কট বিহাইন্ডের আবেদন। আম্পায়ার জোয়েল উইলসন আঙুল তুলেন। সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন ইমরুল কায়েস। দেখা গেলো বল তার ব্যাটে লাগেনি। বেঁচে যান ইমরুল। তৃতীয় বলে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন। একটু সময় নিয়ে আঙুল তুলেন উইলসন। পুনরায় রিভিউ নেন ইমরুল। কিন্তু এবার আর রক্ষা হয়নি। বাংলাদেশ হারায় প্রথম উইকেট।

অনেক প্রত্যাশা ছিলো মুমিনুল হককে নিয়ে। এবারো হতাশ করলেন বাংলাদেশি অধিনায়ক। ফেরেন শূন্য রানে। উমেশ যাদবের করা ১১তম ওভারের প্রথম বলে কট বিহাইন্ড হন মুমিনুল। উইকেটের পেছনে তার ক্যাচ বাজপাখির মতো লুফেন রোহিত শর্মা। তৃতীয় বলেই বোল্ড হন মোহাম্মদ মিঠুন (০)।

দলীয় ২৬ রানে আরেক বিশ্বস্ত ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম সরাসরি বোল্ড হন মোহাম্মদ শামির বলে। তিনিও রানের খাতা খুলতে পারেননি। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন সাদমান ইসলাম। দলীয় ৩৮ রানে উমেশ যাদবের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। ৫২ বলে করেছেন ২৯ রান।

কিছুক্ষণ লড়ে দলীয় ৬০ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ইশান্ত শর্মার বলে উইকেটের পেছনে ঋদ্ধিমান সাহার তালুবন্দি হন রিয়াদ। ২১ বলে ৬ রান করে তিনি।

৭৩/৬ নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে বাকি ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০.৩ ওভারে ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। বিরতির পর সাজঘরে ফেরেন নাঈম হাসান (১৯), ইবাদত হোসেন (১) ও বদলি নামা ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ (৮) ও আবু জায়েদ রাহী (০)। ১২ বছর পর দেশের মাটিতে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন পেসার ইশান্ত শর্মা। মোহাম্মদ শামি ২টি ও উমেশ যাদব নেন ৩ উইকেট। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের দলীয় সর্বনিম্ন এটি। এর আগে ২০০৭ সালে ঢাকায় ১১৮ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। টেস্টে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দলীয় সর্বনিম্ন স্কোর ৯১ রান। ২০০০ সালে ঢাকায় অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে এই স্কোর করেছিলো বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *