রাতুল মন্ডল শ্রীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি পোশাক কারখানার গাড়ি ভাংচুর, চাঁদাবাজিসহ তিন মামলায় খোরশেদ আলম নামে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘন্টা পর তার পিতার মৃত্যু! হয়েছে।
গত ২০ নভেম্বর গভীর রাতে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মো.নুরুল ইসলাম (৮০) এর মৃত্যু হয়। তিনি শ্রীপুর পৌর এলাকার ভাংনাহাটি গ্রামের বাসিন্দা। ভাংনাহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ছিলেন।
নিহত ব্যক্তির ছোট ছেলে তুষার শেখ জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শ্রীপুর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাঁর ভাই যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলমকে আটক করে। এরপর ছেলের আটকের ঘটনা মেনে নিতে না পেরে তাঁর পিতা অসুস্থ হয়ে পরেন। বাড়িতেই খবর দিয়ে আনা হয় চিকিৎসক। পরে অবস্থার একটু উন্নত হলেও বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
জানা যায়, উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের পটকা গ্রামের প্রোষ্টার এপারেলস লিমিটেড (চায়না) কারখানার জুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এড.শামসুল আলম প্রধান ও যুবলীগ নেতা মো.জুয়েল রানা দু’টি ভাগে বিভক্ত ছিল। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গত বেশকিছুদিন যাবৎ উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
গত ১৯ নভেম্বর সকালে কারখানার শ্রমিকবাহী কয়েকটি বাস ওনগাড়িতে ভাংচুরের অভিযোগে যুবলীগ নেতা মো.জুয়েল রানাসহ ২১ জনকে আসামী করে উপজেলা চেয়ারম্যানের চাচাত ভাই ইউসুফ প্রধান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
বুধবার রাতে থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে খোরশেদ আলমসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলো খোরশেদ আলম, ইমরান হোসেন, দেলোয়ার হোসেন ও ঔরভ আলী।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.লিয়াকত আলী জানান,গাড়ী ভাংচুর, চাঁদাদাবিসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্ত্র করে শামসুল আলম প্রধানকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার হয়। এ নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যায়।