ঐ রাতে মুন্নি নিজেই ফোন করে বিজয়কে নেয় তাদের বাড়ি

Slider গ্রাম বাংলা


শ্রীপুর প্রতিনিধি: মুন্নী ফোন করে আমার ছেলেকে বাবার বাড়িতে নিয়ে শিশু সন্তান হত্যার আসামী করেছে। আমি এই ঘটনার প্রকৃত আপরাধির বিচার দাবি করছি। আমার ছেলে কখন নিজের শিশু সন্তানকে খুন করতে পারে না, আমার ছেলেকে মিথ্যা খুনের অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। কান্না জরিত কষ্ঠে কথা গুলো বলছিলেন ১৭ দিনের শিশু সন্তান হত্যার অভিযোগে পুলিশ হেফাজতে থাকা বিজয় ফকিরের মা মলিনা বেগম।

তিনি বলেন, শনিবার রাত আটটার দিকে বিজয়ের স্ত্রী ফোন করে আমার ছেলেকে তাদের বাড়িতে যেতে বলে, কিন্তু বিজয়ের হাতে কোন টাকা পয়সা না থাকায় শশুর বাড়ি যেতে অনিহা প্রকাশ করে বিজয়। এই অবস্থায় আমার ছেলের বউ রেগে যায়। পরে বিষটি আমাকে জানায়, বিজয়ের ফোন দিয়ে কথা হয় ছেলের বউ মুন্নির সাথে। সে আমাকে বলে আম্মা আপনার ছেলের জন্য অনেক কিছু রান্না করেছে, আপনার ছেলেকে একটু পাঠিয়ে দেন।

তখন আমার কাছ থেকে ৬শত টাকা বিজয়ের হাতে দিয়ে তাকে বুঝিয়ে শশুর বাড়ি পাঠিয়ে দেই। ভোর রাতে বিজয়ের শশুর মোফাজ্জল হোসেন আমাকে ফোন করে বলে ডাকাত পাঠিয়েছেন রাতে, আপনার ছেলে তার শিশু সন্তানকে গলা টিপে মেরে ফেলেছে।

তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে নয় তার শশুর বাড়ির লোকজন আমার ফুটফুটে নাতীনকে হত্যা করে আমার ছেলেকে মিথ্যা খুনের মামলায় ফাঁসিয়েছে।

উল্লেখ্য ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময় উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপির বাড়ি গ্রামের আক্কেল আলী মৌলভীর ছেলে মাহফুজের সাথে প্রথম বিয়ে হয় মুন্নির। বেশি দিন সংসার হয়নি প্রথম স্বামীর ঘরে মুন্নির। আর বিজয়ের সাথে বিয়ের সময় আগে বিয়ের কথা অস্বীকার করে মুন্নির পরিবার। তারপরও কোন দিন আমাদের পরিবারে কোন ধরণের পারিবারিক কলহ ছিলো না। তাহলে কি কারণে আমার ছেলে তার শিশু পুত্রকে হত্যা করবে বলে প্রশ্ন করেন বিজয়ের মা।

উল্লেখ্য গত রোববার সকালে শ্রীপুর পৌর এলাকার ভাংনাহাটি গ্রামের শিশুর নানা বাড়ির আঙ্গিনায় একটি বালতির ভেতরে নিহত শিশু আব্দুল্লাহ্ আল মাহাদীর মরদেহ ভেসে রয়েছে। পাশেই বসে রয়েছে বাবা মো.বিজয় ফকির। নিজের সন্তানকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ স্থানীয়রা তাকে পুলিশে দেয়।

শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী বলেন, হত্যা মামলা করে বাবা বিজয় ফকিরকে আদলতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *