ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের ব্রিজটি শিশু শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা!

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় বাংলার মুখোমুখি


রাতুল মন্ডল শ্রীপুর: জনপ্রতিনিধি বা সরকারী আশ্বাস এর কোনটাই কাজে আসছে না শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদা পাড়া গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের চলাচলের গলদাপাড়া বলদীঘাট সংযোগ সড়কের মাঝ খানে জুলার বাইদ নামক ভেঙে যাওয়া ব্রিজ নির্মাণে।

অবহেলিত জনপদ গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদা পাড়া গ্রামের মানুষের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তার মাঝখানে জুলার বাইদ খালের উপর ছোট্ট ব্রিজটি প্রায় ৫বছর আগেই ভেঙে যায়। সর্বশেষ গ্রামের মানুষের নিজ উদ্যোগে কাঠের একটি ব্রিজ তৈরি করে চলাচল করছে।

বছরের বেশিরভাগ সময় ঝুড়ে জুলার বাইদে পানির প্রবাহ থাকায় গ্রামবাসীর একমাত্র ভরসা নিজেদের তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের ব্রিজ। কাঠের এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে বিভিন্ন সময় ঘটে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এতে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্কুলগামী ছোট ছোট শিশুসহ বয়স্ক, ও নারীদের।

গলদাপাড়া গ্রামের কামাল হোসেন বলেন, এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের চলাচলের গলদাপাড়া বলদীঘাট সংযোগ সড়কের জুলাই বাইদ খালের ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় একটি দাখিল মাদ্রাসা, একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন অনেক ভোগান্তিতে পরতে হয়।

একই গ্রামের আবুল কাশেম বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে এই খালের ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ একটি কাঠের ব্রিজ দিয়ে চলাচলের ফলে ঘটে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
দক্ষিণ গলদা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম বলেন, এই বিদ্যালয়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের চলাচলের রাস্তা এটি। ঝুঁকিপূর্ণ এই কাঠের ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন অনেক শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে যখন খালে পানি থাকে তখন কাঠের ব্রিজ দিয়ে চলাচলে ভয়ে শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকে কম।

কাওরাদ ইউপি সদস্য মোমেনুল কাদের বলেন, উপজেলা সদর থেকে সর্ব দক্ষিণে হওয়াায় এই জনপদ সব সময় অবহেলিত। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যে ধরনের প্রকল্প পেয়ে থাকি এতে কোন ধরনের সেতু নির্মাণের বরাদ্ধ দেয়া হয় না। বিষয়টি আমি যথাযথ কতৃপক্ষকে জানিয়েছি।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শামসুল আরেফিন বলেন, গ্রামবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *