শামীম-খালেদ কারাগারে, রিমান্ডে সেলিম

Slider জাতীয় বাংলার আদালত

ঢাকা: ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ হোসেন ভূঁইয়া ও প্রভাবশালী ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অর্থ পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার সেলিম প্রধানসহ তিনজনকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। অপর দুই আসামি হলেন আক্তারুজ্জামান ও নোমান।

আদালত সূত্র বলছে, ৭ অক্টোবর খালেদ হোসেন ভূঁইয়াকে দুই মামলায় সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। আর অর্থ পাচার মামলায় ২ অক্টোবর জি কে শামীমকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন আদালত। দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে খালেদ ও শামীমকে আজ রোববার আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত শুনানি নিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে মাদক, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন যুবলীগের নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এ ঘটনায় র‍্যাব বাদী হয়ে খালেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থ পাচার আইনে মামলা করে।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ পায়, আসামি জি কে শামীম একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়ার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। আর এই আসামির সহযোগীরা (দেহরক্ষীরা) উচ্চ বেতনভোগী, কুকর্মের সহযোগী। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হলেও মূলত তাঁরা অস্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে এসব অস্ত্রশস্ত্র বহন এবং প্রদর্শন করেছেন। এর মাধ্যমে জনমনে ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল, গরুর হাটে চাঁদাবাজি করেন।

অপরদিকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্যাংককগামী একটি ফ্লাইট থেকে সেলিম প্রধানকে আটক করে র‌্যাব। পরে অভিযান চালিয়ে সেলিম প্রধানের গুলশান-২-এর বাসা কাম অফিস মমতাজ ভিশনে ৭ লাখ টাকা, ৭৭ লাখ টাকা সমমানের বিদেশি মুদ্রা ও ৮ কোটি টাকার চেক পেয়েছে র‍্যাব। এ ছাড়া সেখানে বিদেশি মদ ও হরিণের চামড়া পাওয়া যায়। এ ঘটনায় গুলশান থানায় অর্থ পাচার ও মাদক আইনে মামলা করে র‍্যাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *