রাতুল মন্ডল শ্রীপুর: ভাদাইমা’ বলায় গাজীপুরের শ্রীপুরের ধলাদিয়া গ্রামের গৃহবধূ লাভনী আক্তারকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক স্বামী মোহাম্মদ মামুন।
গত ৮ অক্টোবর রাতে পার্বত্য রাঙামাটি জেলার নয়াঝালপাড়া এলাকা থেকে শ্রীপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘাতক স্বামী মামুনকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন ৯ অক্টোবর গাজীপুর জুডিজিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের আদালতে তুলা হলে মৌজধারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় হত্যার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জাবানবন্দি দেয় সে।
লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা উঠে আসে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাতে শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.লিয়াকত আলী জানায়, প্রায় ২ বছর পূর্বে মোহাম্মদ মামুনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় লাভনী আক্তারের। এরপর তাদের গ্রামের বাড়িতে সংসার শুরু হয়। অভাব অনটন দেখা দিলে কাজের উদ্দেশ্যে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ির ধলাদিয়া গ্রামে বসবাস শুরু হয় তাদের।
উল্লেখ: গত ৯ জুলাই সকালে শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ধলাদিয়া গ্রামের সাইফুলের বাসা থেকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় গৃহবধূ লাভনী আক্তারের মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। গৃহবধূ ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ভাটি চারিয়া গ্রামের মো.আবুবক্কও সিদ্দিকের মেয়ে। এ ঘটনায় একই গ্রামের আবু সিদ্দিকের ছেলে স্বামী মোহাম্মদ মামুনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা করে গৃহবধূর ভাই মো.মানিক মিয়া। এরপর থেকে মামলার তদন্ত কাজ শুরু করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.আমিনুল ইসলাম।