যে কারণে ৪০ ঘন্টা পর শিক্ষার্থীদের সামনে এলেন বুয়েট ভিসি

Slider জাতীয় বাংলার মুখোমুখি


ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। বুয়েটের আট হলের প্রভোস্টদের সাথে সভা শেষে নিজ কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন তিনি।

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যা করার প্রায় ৪০ ঘণ্টা পর তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে আসেন। আবরার হত্যায় জড়িতদের সকলকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়াসহ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আট দাবিকে নৈতিক সমর্থন জানান ভিসি।

তার অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে সাইফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের জন্য তিনি মন্ত্রী ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যস্ত ছিলেন। ‘সবকিছু আমার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই,’ বলেন তিনি।

এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ভিসির কাছে দাবি মেটানোর আশ্বাস লিখিতভাবে দেয়ার দাবি জানান।

দাবি মেটানোর আগ পর্যন্ত ক্লাস বয়কটের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, বিকালে বুয়েটের ভিসি সকল হলের প্রভোস্টদের সাথে বৈঠক করেন। সকালে, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিকাল ৫টার মধ্যে ভিসি দেখা না দিলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেন। পরে ভিসি সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটে ক্যাম্পাসে আসেন।

সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন আবাসিক হল থেকে বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার সামনে তাদের আট দফা দাবি পূরণের দাবিতে একত্রিত হন।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সব চিহ্নিত খুনিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা নিষ্পত্তি, এবং র‌্যাগিং ও ভিন্ন মতের কারণে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনকারীদের ছাত্রত্ব বাতিল করা।

এছাড়া, রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে হল থেকে ছাত্রদের উৎখাতের বিষয়ে অজ্ঞ থাকায় শের-ই-বাংলা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার, আবরার হত্যা মামলার সব খরচ ও তার পরিবারের ক্ষতিপূরণ বুয়েট কর্তৃপক্ষকে দেয়া এবং ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে (২১) সোমবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের সিঁড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী রোববার রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত সন্দেহে তাকে মারধর করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *