হিসাবরক্ষককে ঘুষ না দিলে মাসের পর মাস ফাইল পরে থাকে তার টেবিলে!

Slider গ্রাম বাংলা সারাদেশ


শ্রীপুর(গাজীপুর): গাজীপুরের শ্রীপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর উপজেলা হিসাবরক্ষক মো.খোরশেদ আলমকে ঘুষ না দিলে তার টেবিল থেকে ফাইল নড়ে না বলে অভিযোগ করেছে একাধিক ঠিকাদার।

গত মঙ্গলবার দুপুরে ঘুষ না দেয়ায় ঠিকাদার ও ইউপি সদস্য মো.জাকির হোসেনের ওপর চড়াও হন এলজিইডির শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে হিসাবরক্ষক মো.খোরশেদ আলম। এছাড়াও বিভিন্ন ঠিকাদাররা বিলে তার স্বাক্ষর করাতে দিয়ে থাকেন মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ করেছে একাধিক ঠিকাদার।

জানা যায়, উপজেলা পরিষদ উন্নয়ন তহবিল (রাজস্ব উদ্বৃত্ত) গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এ তহবিল থেকে প্রতি বছর গ্রামীণ জনপথ দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল নির্বিঘœ করতে ইটের সলিং করা হয়। দরপত্র দিয়ে ই-ট্রেন্ডারের মাধ্যমে সলিং কাজ গুলো বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পায়। পরে অর্থবছরের মধ্যেই ইটের সলিং কাজ সম্পূর্ণ করে বিল তুলতে গেলেই বিলের ফাইল আটকে যায় হিসাবরক্ষকের টেবিলে। মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিলেই কেবল তার টেবিল থেকে ফাইল নড়ে। দিনের পর দিন ঘুরেও ঘুষ না দিয়ে ফাইল সরাতে পারেন না ঠিকাদাররা। উপজেলা প্রকৌশলীর সহযোগিতায় এতো বড় সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন এলজিইডির উপজেলা হিসাবরক্ষক মো.খোরশেদ আলম।

ঠিকাদার মো.জাকির হোসেন জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে পাঁচটি সড়কে সলিং করণের জন্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকার বাজেটে একটি কাজ পায় মেসার্স সাকিব এন্টার প্রাইজ। কাজ পাওয়ার পর সঠিক সময়ের মধ্যে সড়ক সলিং সম্পূর্ণ করে, বিলের জন্য কাগজপত্র এলজিইডির শ্রীপুর উপ-সহকারি প্রকৌশলীর কাছে জমা দেন। এরপর ফাইল হিসাবরক্ষকের টেবিলে গেলে মোটা অংকের টাকা ঘুষ চেয়ে বসেন হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা। টাকা দিকে অস্বীকৃতি জানালে তার ফাইল আটকে পরে। ফাইলে স্বাক্ষর না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তার ওপর চড়াও হন হিসাবরক্ষক। এসময় তাকে অসম্মান করে বিভিন্ন গালিগালাজ শুরু করেন। তার গালিগালাজ শুনে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের লোকজন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলজিইডির শ্রীপুর উপসহকারি প্রকৌশলী জানান, বিলের ফাইল প্রস্তুত করে হিসাবরক্ষকের কাছে হস্থান্তর করার পরও ফাইলে হিসাবরক্ষকের স্বাক্ষর না হওয়ায় এমন বিপত্তি দেখা দিয়েছে।

এলজিইডির গাজীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আব্দুল বারেক বলেন, ঘুষ চাওয়ার ঘটনাটি তদন্ত চলছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে হিসাবরক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *