রাতুল মন্ডল শ্রীপুর: প্রাথমিক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। এর ধারাবাহিকতায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গাড়ারণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সেজেছে লাল-সবুজের রঙে। গাড়ারণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব গুলো ভবনকে লাল-সবুজের রঙে সাজানো হয়েছে। প্রতিটি শ্রেণী কক্ষ একইভাবে সাজানো হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এই বিদ্যালয়ের একেকটি শ্রেণী কক্ষ এখন হয়ে উঠেছে একেকটি ক্ষুদ্র বাংলাদেশ।
জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধে হাতেখড়ি দেয়ার লক্ষ্যে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তত্বাবধানে ব্যতিক্রমধর্মী এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। এরইমধ্যে এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীসহ সকলের প্রশংসাও কুড়িয়েছে। পেশাদার শিল্পীদের দিয়ে ভবনগুলো অঙ্কন করায় একেকটি স্কুল দেখলেই মনে হয় যেন, একেকটি লাল-সবুজের ক্ষুদ্র বাংলাদেশ। একইভাবে বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণী কক্ষ ভেতরের দেয়ালও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন চিত্রে সাজানো হয়েছে। এর ফলে নতুন কিছু দেখার আগ্রহ থেকে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগ্রহ আগের থেকে বেড়েছে।
গাড়ারণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি লাল-সবুজ রং হওয়ায় এখন এই উপজেলার অন্য সকল প্রতিষ্ঠান থেকে সহজেই আলাদা করা করে চেনা যায়। এ বিষয়ে গাড়ারণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদা পারভিন বলেন, গত মাসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিনে গাজীপুর জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে ভিয়েতনাম সফরে গিয়ে আধুনিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। এটি একটি মডেল। লাল-সবুজ পতাকায় মোড়ানো ভবন মানেই এখন গাড়ারণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এমন রূপে সাজানোর ফলে বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়া শিশু সহজে জাতীয় পতাকার রঙ জানতে পারবে। লাল-সবুজ রঙয়ের বিশেষত্ব সম্পর্কে অবগত হয়ে শহীদদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে শিশুরা
শ্রীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, উপজেলার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সমাজের বিত্তবান, অভিভাবক ও শিক্ষকদের আর্থিক সহায়তায় বিদ্যালয়গুলো শিশুদের জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগে জাতীয় পতাকার রঙে সজ্জিত করা হয়েছে। উপজেলার ১৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩৫ হাজার শিশু পড়ালেখা করে।
তিনি আরো জানান, এসব শিশুকে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ শেখানোর পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে এর সাফল্য হিসেবে ইতোমধ্যে গাড়ারণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থী উপস্থিতি, বাড়বে ভর্তির হার।