রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও’র বিষয়ে সরকারের কঠোর অবস্থানের বিষয়ে জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

Slider জাতীয় সারাবিশ্ব


ঢাকা: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত কয়েকটি এনজিও’র বিষয়ে সরকারের কঠোর অবস্থানের বিষয়ে জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। রোববার সচিবালয়ে আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।

রোববার সকালে প্রায় সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে ওবয়াদুল কাদেরের সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট কথা বলেন করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। সৌজন্য সাক্ষাত শেষে ওবায়দুল কাদের উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিছু এনজিও’র কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপের ব্যাপারে জানতে চান। এর জবাবে তাকে জানানো হয়, কিছু এনজিও’র কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সরকারের কাছে অভিযোগ এসেছে। এনজিওরা মোনাজাত করবে বলে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে রাজনৈতিক মহাসমাবেশ করেছে। এই সমাবেশ আয়োজনে কিছু এনজিও’র সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকার বিষয়ে সরকার অবগত হয়েছে। এ বিষয়গুলো সরকার আরও খতিয়ে দেখছে।

তিনি বলেন, আলাপকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন এনজিও’র কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আরও যেসব অভিযোগ এসেছে সে ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে অবগত করেছি। অভিযোগ কোনটা সত্য হতে পারে, কোনটার সত্যতা নাও থাকতে পারে, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে যেসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে সে সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তথ্য দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ সময় ধরে কক্সবাজারে অবস্থানের কারণে যেসব সমস্যা হচ্ছে সে সম্পর্কেও তিনি রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারকে জানিয়েছেন। বিশেষ করে ১১ লাখ রোহিঙ্গার এই বাড়তি বোঝা বাংলাদেশের পক্ষে আর বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের কারণে বাংলাদেশ ভৌগোলিক, পর্যটন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক দিয়ে সমস্যায় পড়ছে। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফিরিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতের বিষয় ছিল দূতাবাসের ‘রুটিন ওয়ার্ক’। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতকে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকার বিরোধী দলকে যথেষ্ট স্পেস দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের স্পেস দিতে বলেছেন, তাই সরকার স্পেস দিচ্ছে। রাজনৈতিক বা প্রশাসসিনক কোনও সমস্যা হচ্ছে না।

খালেদা জিয়াকে সরকার ইচ্ছা করেই জামিন দিচ্ছে না, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি লিগ্যাল ম্যাটার। তাছাড়া, বিএনপি নেতারা তো বলছেন, তারা আন্দোলন করেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেন। তারা তাহলে আন্দোলন করেই তাকে মুক্ত করুক, কে নিষেধ করেছে। তারা তো ৫০০ লোকেরও সমাবেশ করতে পারে না। খালেদা জিয়া দেড় বছর ধরে জেলে। দেড় বছরে দেড় মিনিটের আন্দোলনও তারা করতে পারেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *