রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাফেরা, ফোন ও ইন্টারনেট সেবা দাবি

Slider জাতীয় সারাবিশ্ব

ঢাকা: এ দেশেই রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন নতুন আবদার জানাচ্ছে মানবিক সহায়তা দেওয়া বিভিন্ন সংস্থা। এছাড়া রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করায় অসন্তুষ্ট বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, দুই দফা প্রত্যাবাসন শুরু করার উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়া এবং ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের বিশাল সমাবেশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বেশ কিছু সতর্কতামূলক উদ্যোগ নিয়েছে। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করা। তবে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেবার ওপর কড়াকড়ি আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে দৃশ্যত অসন্তুষ্ট মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা (আইএনজিও)।

ওই সংস্থাগুলো মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেবা দেওয়াই শুধু নয়, উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ এবং অবাধ চলাফেরার সুযোগসহ এ দেশে রোহিঙ্গাদের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলেছে, এ দেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পানি ও স্যানিটেশন সেবা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। রোহিঙ্গারা অস্থায়ী শিবিরে থাকলেও তাদের পানি ও স্যানিটেশনের অধিকার পূরণ করতে বাংলাদেশ সরকার বাধ্য।

শুধু তাই নয়, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগ তুলে তাদের ওপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।

এদিকে নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের চলাফেরার স্বাধীনতা, ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার দাবিসহ সাম্প্রতিক সময়ে চারজন রোহিঙ্গা নিহত হওয়ার বিষয়টি তদন্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরে বর্ধিত নজরদারি, শিবিরের বাইরে চলাফেরায় কড়াকড়ি এবং রোহিঙ্গা সমাবেশ আয়োজনে সহায়তা দেওয়া এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেছে এইচআরডাব্লিউ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *