ঢাকা আসছেন মঙ্গলবার: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Slider জাতীয়

কূটনৈতিক রিপোর্ট: রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর মেরিস পেইন। মঙ্গলবার ৩ দিনের সফরে ঢাকা আসছেন তিনি। মন্ত্রী পেইনের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাব্য কর্মসুচির বিস্তারিত গণমাধ্যমকে জানিয়েছে ঢাকাস্থ অস্টেলিয়ান দূতাবাস।

আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে- অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রী সিনেটর মেরিস পেইন ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের আইওআরএ’র মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিতে এবং দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় ৩-৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা সফর করবেন। সফরকালে তিনি কক্সবাজারস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন। অস্ট্রেলিয়া অন্যতম দাতা হিসেবে বাংলাদেশে অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকা ৯ লাখেরও বেশি বাস্তুচুত রোহিঙ্গাকে মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। সহায়তার মধ্যে রয়েছে নারী এবং মেয়ে যারা সহিংসতার শিকার হয়েছে তাদের জন্য কাউন্সিলিং এবং চিকিৎসা সেবা, খাদ্য এবং পুষ্টি – বিশেষ করে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের জন্য পরিষ্কার পানি, আশ্রয় এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা নিশ্চিতেও দেশটির সহায়তা রয়েছে। দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সহিংস চরমপন্থার মোকাবেলা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের অগ্রগতি, অস্ট্রেলিয়ান শিক্ষার প্রচার এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেইন বাংলাদেশ সরকারের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
বিজ্ঞপ্তি মতে, অস্ট্রেলিয়া একটি দ্বীপ মহাদেশ হিসেবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সমুদ্রের অবস্থার গুরুত্বের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।

আইওআরএ ব্লু-ইকোনোমি মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেইন পরিবেশগতভাবে টেকসই সমুদ্র-ভিত্তিক শিল্প যার মধ্যে রয়েছে- মাছ ধরা, জলজ শিল্প, পর্যটন, জাহাজ শিল্প, তেল এবং গ্যাস, তা তৈরির কৌশলগত দিক তুলে ধরবেন। মন্ত্রী পেইন আইওআরএ ব্লু-কার্বন হাবের প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিবেন যা একটি অস্ট্রেলিয়ান উদ্যোগ এবং অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ইন পার্থ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত এবং সিএসআইআরও দ্বারা পরিচালিত। হাবটির লক্ষ্য হচ্ছে ব্লু কার্বন ইকোসিস্টেমের অবস্থা – ম্যানগ্রোভস, টাইডাল মার্শেস এবং সি গ্রাসেস – উপকূলীয় সুরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই জীবিকার প্রচার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *