‘খেলাপী ঋণ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই’

অর্থ ও বাণিজ্য

113বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ‘খেলাপী ঋণ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলেও উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কেননা মাত্র কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের খেলাপী ঋণের কারণেই সার্বিক খেলাপী ঋণের পরিমাণ বেশী হয়। কিন্তু কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকসহ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাদ দিলে খেলাপী ঋণ নিয়ে দুঃচিন্তার কিছু নেই। আমাদের খেলাপী ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় দুই শতাংশের মতো।’

দুই দিনব্যাপী ১৫তম জাতীয় পরিসংখ্যান সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এন ই সি সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
এ ছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সুরাইয়া বেগম।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান এ্যাসোসিয়েশন সভাপতি প্রফেসর ড. মোসলেহ উদ্দিন। বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ পরিসংখ্যান এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও সহ-সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম।

অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘পূর্বের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন পরিশুদ্ধ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। জবাবদিহিতামূলক সরকার হলে প্রতিনিয়ত পরিসংখ্যানবিদদের কাছে আমাদের যেতে হবে। বর্তমানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে শাসকদের মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে। এটি তথ্য প্রযুক্তি গণমাধ্যমের কারণে সম্ভব হয়েছে। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে, ভয় পাওয়ার কিছুই নেই।’
সুরাইয়া বেগম বলেন, ‘বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিসংখ্যান ব্যুরো সঠিক ও আন্তর্জাতিকমানের তথ্য সরবরাহ করছে। এ কাজে পরিসংখ্যানবিদরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে।’
ড. মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা বিগ ডাটা বিশ্বে প্রবেশ করেছি। বেশীর ভাগ ব্যবসায়ী এই ডাটা ব্যবহার করে তাদের ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যারা ব্যবহার করতে পারছে না তারা পিছিয়ে পড়ছে।’

শুক্রবার সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এতে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন সভাপতি পদে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. নুরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ পদে পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকল্প পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক, সদস্য পদে পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাসুদ আলম, মাকসুদ হোসেন, সহিদুল ইসলাম খান, ইফতেখারুল করিম, হাফিজুর রহমান, আবদুর রহিদ সিকদার ও গোলাম রহমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *