খুলনা: জিআরপি থানায় ‘পুলিশের গণধর্ষণের শিকার’ হওয়া সেই নারীকে জামিন দেননি আদালত। ঘটনার পরের দিন মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
রোববার দুপুরে শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করেন খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ওই নারীর পক্ষে জামিনের আবেদন করা বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২ আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা ওই নারীকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটক করে। অবশ্য জিআরপি পুলিশের দাবি, বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী কমিউটার ট্রেন থেকে ওই নারীকে ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়।
ওই নারীর অভিযোগ, রাতে থানার ওসি উছমান গণি পাঠানসহ ৫ পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। গত ৪ আগস্ট আদালতে গণধর্ষণের বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। এরপর আদালতের নির্দেশে ৫ আগস্ট তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
এদিকে ধর্ষণের অভিযোগ তদন্ত করছে পুলিশের দুটি কমিটি। এরই মধ্যে অভিযুক্ত ওসি উছমান গণি পাঠানসহ দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পাকশী রেলওয়ে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই নারী গত ৯ আগস্ট খুলনা জিআরপি থানায় একটি মামলা করেছেন। খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে ২০১৩ সালের ‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের’ ১৫ ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলায় খুলনা জিআরপি থানার ওসি, ওই রাতের ডিউটি অফিসার ও অজ্ঞাত তিন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।