২ জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা


ডেস্ক: পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ময়মনসিংহ ও কক্সবাজার জেলায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জহিরুল ইসলাম (২০) নামে গণধর্ষণ মামলার এক আসামি এবং জেলার চরপুলিয়ামারী এলাকায় ১১ মামলার আসামি জনি মিয়া (২৬) নিহত হয়। অন্যদিকে কক্সবাজারে টেকনাফে বিজিবি ও ইয়াবা পাচারকারীদের মধ্যে ‘গোলাগুলি’তে এক রোহিঙ্গাসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প নং ২ এর মৃত হায়দার শরীফের ছেলে নুরুল ইসলাম (২৭) ও টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং নয়াবাজার এলাকার মৃত জলিল আহমদের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩০)। সোমবার রাতে এসব ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে জানান, ময়মনসিংহে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে ২ জন নিহত ছাড়াও ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ডিবি পুলিশ একটি পাইপগান উদ্ধার করে।

ময়মনসিংহ ডিবির অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ জানান, সোমবার রাত আড়াইটার দিকে ধর্ষণকারীরা ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পার্টিরা কালাদহ ঈদগাহর সামনে অবস্থানকালে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলি ছুঁড়তে থাকে।
পুলিশ আত্মরক্ষার্থে শর্টগানের গুলি ছুঁড়লে আসামিরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে জহিরুল ইসলামকে আহত অবস্থায় একটি পাইপগানসহ গ্রেপ্তার করা হয়। সে ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কৈয়ারচালা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত জহিরুল ১৬ বছরের এক কিশোরী গণধর্ষণ মামলার আসামি।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ আরও জানান, রাতে মাদকবিরোধী অভিযান চালানোর সময় ডিবি পুলিশ জানতে পারে চরপুলিয়ামারী এলাকায় কিছু মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী অবস্থান করছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় তারা। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি ও ঢিল ছোঁড়ে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আকরাম হোসেন ও মতিউর রহমান আহত হন। এ সময় পুলিশও সরকারি সম্পদ ও আতœরক্ষার্থে শর্টগানের ফাঁকা গুলি করে। একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। এ সময় ২০০ গ্রাম হেরোইন ও একটি স্টিলের ছুরিসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জনি মিয়াকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়। পরে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন। ডিবির ওসি আরো জানান, নিহত জনি মিয়ার বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় মাদকের তিনটিসহ ১১টিরও বেশি মামলা রয়েছে। সে শহরের পাটগুদাম এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৩ টার দিকে নাফ নদী দুই নম্বর স্লইচ গেট এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে যে, মিয়ানমার হয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে খারাংখালী নাফ নদীতে বিজিবির একটি বিশেষ টহল দল অবস্থান নেয়। রাত ৩ টার দিকে ৪-৫ জন লোককে এপারে ঢুকতে দেখে তাদের চ্যালেঞ্জ করা মাত্রই গুলি ছুঁড়তে থাকে। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। কিছু সময় গুলি বিনিময় হওয়ার পরে অস্ত্র ও ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পিছু হটে। বিজিবি ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে ওই সব ইয়াবা ও অস্ত্রসহ দু’যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গুলিবিদ্ধ ওই দুই যুবক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *