ভারতের ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে খেলা উচিত ছিল : সৌরভ

Slider খেলা

“ফিনিশার ধোনি এখন ফিনিশড!” ঠিক এই মর্মেই এমএসডি-র সমালোচকরা তাকে চলতি বিশ্বকাপে ধুয়ে দিচ্ছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ধোনি সমালোচিত। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৩১ বলে ৪২ রানের ইনিংসে খেলেছিলেন ধোনি। কিন্তু তার মধ্যে সেই চেনা মেজাজটাই পাওয়া যায়নি। চারটি চার ও একটি ছয়ে সাজানো ইনিংস ছিল অত্যন্ত মন্থর। এমনটাই দাবি অনেকের। এমনকি ধোনি রান তাড়া করতে নেমে অনেক ডট বল খেলেছেন বলেও অভিযোগ এসেছে।

শেষ ১০ ওভারে ভারতের ব্যাটিং নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন উঠেছে।
ইংল্যান্ডের ৩৩৭ রানের জবাব দিতে নেমে ইনিংসের শেষের দিকে ধোনি ও কেদার বড় শট না খেলে সিঙ্গলসের উপরে জোর দেন। ধোনি-কেদারের এরকম ব্যাটিং দেখে বিস্ময়ের ঘোর কাটছে না ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর।

সৌরভ গাঙ্গুলী বলেন, অন সাইডে ইংল্যান্ড যত জন ফিল্ডারই রাখুক না কেন, ধোনি অন সাইডে মারলে কেউই ওই বল থামাতে পারবে না। ম্যাচের শেষ পর্যায়ে ধোনির কাছ থেকে ঝোড়ো ব্যাটিং আশা করেছিলেন সৌরভ। প্রাক্তন অধিনায়কের আশা পূর্ণ হয়নি। ম্যাচের শেষ পর্যায়ে বড় শট খেলা তো দূর অসত‌! ধোনি কেমন যেন গুটিয়ে গেলেন।

সৌরভ বলেন, এরকম মন্থর ব্যাটিংয়ের কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছি না। ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা কেন সিঙ্গলস নিচ্ছে, তার উত্তর সত্যিই আমার জানা নেই। বাউন্স এবং লেন্থ হয়তো ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা ঠিকমতো পড়তে পারছে না। তাই বলে ৩৩৭ রান তাড়া করতে নেমে শেষমেশ হাতে পাঁচ উইকেট থেকে যাওয়ার কোনও যুক্তি দেখি না। বার্তাটা খুব পরিষ্কার হওয়া উচিত। কীভাবে বল মারছ বা কোথায় মারছ, সেটা বড় ব্যাপার নয়। যে ভাবেই হোক বাউন্ডারি মারতে হবে। ম্যাচের এই পরিস্থিতিতে এসে সিঙ্গলস!

অবাক সৌরভ। তিনি ধোনি বা কেদার যাদবের নাম উচ্চারণ করেননি। কিন্তু, সৌরভসহ অন্যান্য প্রাক্তনদের নিশানায় যে ধোনি, তা বলাই বাহুল্য। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে মন্থর ব্যাটিং করার জন্য শচীন প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন ধোনির। এবার সৌরভও তার প্রাক্তন ওপেনিং পার্টনারের রাস্তা নিলেন।

তিনি আরও বলেন, প্রথম ১০ ওভারে ভারত এক উইকেট হারিয়ে ২৮ রান করে। শেষের ১০ ওভারেও দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারেনি ভারত। শেষের ১০ ওভারে ব্যাট করছিলেন ধোনি। হার্দিক তাও একটা মরিয়া চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ধোনি ক্রিজে আসার পরে পাণ্ডিয়ার মধ্যেও তাগিদ দেখা যায়নি।

সৌরভ বলেন, আশা করি এই ম্যাচের পরে ওরা নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করবে। বিশ্বকাপে এখন দারুণ ফর্মে রয়েছে ভারত। ভারতীয়দের ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে খেলা উচিত ছিল। ভারত যদি ৩০০ রানে অল আউটও হয়ে যেত, তা হলে আমি খুশি হতাম। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ফের পড়তে হতে পারে ভারতকে। প্রথম ও শেষ দশ ওভারে সাফল্যের রাস্তা খুঁজতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *