দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের ঘটনায় অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। পরে সে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে তাকে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে ৬ ম্যাচ খেলে দু’টি সেঞ্চুরি (১৬৬, ১০৭) ও দুটি হাফ সেঞ্চুরি (৮৯*, ৫৬) করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ রান করেছেন।
এদিকে ৪৪৭ রান করে এই মুহূর্তে বিশ্বকাপের রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার উপরে আছেন এই অজি ওপেনার।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬৬ রানের ইনিংস খেলেন অস্ট্রেলিয়ার এই ওপেনার। ম্যাচে ৫টি ছক্কা ও ১৪ চারে ১৪৭ বলে ১৬৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন ওয়ার্নার।
এই ইনিংসের মাধ্যমে নতুন এক রেকর্ডও গড়েন তিনি।
ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে দু’বার ১৫০ বা তার বেশি রান করার কৃতিত্ব দেখানো প্রথম ক্রিকেটার ওয়ার্নার।
এর আগে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৩৩ বলে ১৭৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যা এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে কোনো অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছয়টি ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দেড়শ বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলা প্রথম ক্রিকেটারও তিনি।
এই ম্যাচে ওয়ার্নারের রেকর্ড আছে আরও। বুধবার বাংলাদেশের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরিটি ওয়ার্নারের ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরি। যা করতে ওয়ার্নারের লেগেছে বিরাট কোহলির সমান ১১০ ইনিংস। সবচেয়ে দ্রুত ১৬ সেঞ্চুরি করার রেকর্ড আছে দক্ষিণ আফ্রিকান হাশিম আমলার দখলে, তিনি এ পরিমাণ সেঞ্চুরি করতে খেলেছেন ৯৪ ইনিংস। যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন বিরাট ও ওয়ার্নার।