একশ বছর পর লাউডগা সাপের নতুন প্রজাতির সন্ধান

Slider বিচিত্র

প্রায় একশ বছরের ব্যবধানে বিশেষজ্ঞরা সন্ধান পেয়েছেন এক নতুন প্রজাতির লাউডগা সাপের। সম্প্রতি সর্প বিশেষজ্ঞদের একটি দল ভারতের ওড়িশার সিমলিপাল সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ‘এশিয়ান ভাইন’ গোত্রের ওই সাপের খোঁজ পান। লাউডগা গোত্রের এ সাপটির বিজ্ঞানসম্মত নাম রাখা হয়েছে ‘আহেতুল্লা লাউডঙ্কিয়া’।

মূলত ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার-সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই সাপের নানা প্রজাতির দেখা পাওয়া যায়।

এর আগে লাউডগার নয়টি প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গেলেও এ বার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এই সাপের প্রজাতি। এগুলো প্রজাতিভেদে কোনটি বিষধর, আবার কোনটি স্বল্প বিষধর সাপ।
মূলত লাউডগা নামে পরিচিত এই সাপটির আদি বাসস্থান ওড়িশা।

তবে রাজস্থান, মহারাষ্ট্রেও এই সাপটির দেখা পাওয়া যায়। এই প্রজাতির সাপকে প্রথম দেখা গিয়েছিল ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ, বালাসোর এবং বৌধ জেলায়।
গেরুয়া-বাদামী ডোরাকাটা গা এবং পেটের কাছে লালচে-কমলা রং দেখে এই সাপকে আলাদা ভাবে চেনা যায়। এ ছাড়া সর্পবিশারদরা এই বিশেষ প্রজাতির সাপের জিনগত মৌলিকতাও খুঁজে পেয়েছেন বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে। সম্প্রতি তা প্রকাশিত হয়েছে ন্যাচারাল হিস্ট্রি জার্নালেও।

এই সাপের প্রজাতি সম্পর্কে ভারতীয় সর্পবিশারদ প্রত্যুষ মহাপাত্র বলেন, “আমি এই সাপের প্রজাতির প্রথম দেখা পেয়েছিলাম ২০০৯ সালে সিমলিপাল সংরক্ষিত বনাঞ্চলে, পরবর্তীকালে আমরা বালাসোর এবং বৌধ এলাকা থেকে একই ধরনের আরও দু’টি সাপের খোঁজ পাই। আমরা প্রায় ১০ বছর ধরে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে এই সিদ্ধান্তে আসি যে এটি সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতির সাপ। এই প্রজাতিটির নামকরণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্রাণীবিদ্যার নামকরণের যে নির্দেশাবলী আছে সেগুলি অতি সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে। ”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *