ভারতকে ২২৮ রানের টার্গেট দিলো দক্ষিণ আফ্রিকা

Slider সারাবিশ্ব

স্পোর্টস রিপোর্টার: শুরুর দিকে জসপ্রিত বুমরাহ জোড়া আঘাত। বুমরাহের জোড়া আঘাতের পর দুই দফায় দুটি করে উইকেট নিলেন ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল। তাতে সংগ্রহ খুব একটা বড় হলো না দক্ষিণ আফ্রিকার। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা ভারত পেল ছোট লক্ষ্য। সাউথ্যাম্পটনের হ্যাম্পশায়ার বৌলে বুধবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পথ হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯ উইকেটে ২২৭ রান করেছে দলটি। বুমরাহ ও চাহলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিয়মিত উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর একসময় ছিল ১৫৮/৭। ওখান থেকে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলেন মরিস ও রাবাদা জুটি।

দলকে এনে দেন দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ। ক্রিস মরিস ৪২ ও কাগিসো রাবাদা ৩১ রানের কার্যকরী ইংনিস খেলে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দু’শ পার করেন।

বিশ্বকাপে ভারতের বোলিংয়ে মুল ভুমিকা পালন করবেন জাসপ্রিত বুমরাহ। গত কয়েকদিন এ কথাই বার বার শোনা যাচ্ছিল। এমনকি পাকিস্তান কিংবন্তি ওয়াসিম আকরাম পর্যন্ত উচ্চসিত প্রশংসা করেছেন এই ভারতীয় পেসারের। কেন বুমরাহ’র এত প্রশংসা চারদিকে, সেটা তিনি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচের শুরুতেই প্রমাণ করে দিলেন।
বিশ্বকাপ শুরুর প্রায় এক সপ্তাহ পর প্রথম মাঠে নামলো ভারত। প্রথমেই তারা মুখোমুখি হলো শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে প্রোটিয়াদের অবস্থা এবারের বিশ্বকাপে খুবই খারাপ। কারণ, প্রথম দুই ম্যাচেই তারা হেরেছে ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশের কাছে।

সেই দলটির বিপক্ষে টস হেরে বোলিংয়ে যেতে হয়েছে ভারতকে। আগের দুই ম্যাচেই টস জিতেছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি। তবে, সেই দুই ম্যাচেই টস হেরে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। এবার আর ফিল্ডিং বেছে নেননি। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বুমারাহর এমন তোপের মুখে পড়তে হবে, তা কল্পনাতেও আনেননি প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। শুরুতেই তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক এবং হাশিম আমলাকে।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর প্রোটিয়াদের ইনিংস মেরামত করার চেষ্টা করছেন ডু প্লেসি এবং ফন ডার ডুসেন। তৃতীয় উইকেটে এরা দু’জন ৫৪ রানের জুটিতে বিপদ কিছুটা সামলে উঠেছিলেন। ২০তম ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানেন ্র চাহাল। সেট দুই ব্যাটসম্যানকেই বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান ভারতীয় এই লেগস্পিনার। ডু প্লেসিস ৩৮ আর ডাসেন করেন ২২ রান। জেপি ডুমিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। কুলদ্বীপ যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ৩ রান করেই। এরপর ডেভিড মিলার আর আন্দেলো ফেহলুখায়োর দলকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। সেই চেষ্টাতেও চাহালের বাধা। ৩১ রান করা মিলারকে ফিরতি ক্যাচ আর ফেহলুখায়োকে ৩৪ রানে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি।

১৫৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে তখন দুইশর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় প্রোটিয়ারা। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন ক্রিস মরিস আর কাগিসো রাবাদা। অষ্টম উইকেটে তারা গড়েন ৬৬ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ এক জুটি। ৩৪ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় ৪২ রানের ঝড় তুলে মরিস যখন ফেরেন, ইনিংসের আর মাত্র ৪ বল বাকি। ৩৫ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন রাবাদা।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল চাহাল ৫১ রান খরচায় নেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট জাসপ্রিত বুমরাহ আর ভুবনেশ্বর কুমারের।
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশ :

ভারত : শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), লোকেশ রাহুল, এমএস ধোনি (উইকেটরক্ষক), কেদার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার, ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল, কুলদীপ যাদব, জাসপ্রিত বুমরাহ
দক্ষিণ আফ্রিকা : কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), হাশিম আমলা, এইডেন মারক্রাম, ফাফ ডু প্লেসিস, রাশি ফন ডার ডুসেন, জেপি ডুমিনি, আন্দিল পেহলুকাইয়ো, ক্রিস মরিস, কাগিসো রাবাদা, ইমরান তাহির ও তাবরিজ শামস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *