সদরঘাটে জনস্রোত, লঞ্চঘাটে ঢোকাই দায়

Slider জাতীয়

ঢাকা: ইদ্রিস আলীর বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়ায়। গাজীপুরের একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করেন। আজ সোমবার গার্মেন্টস ছুটি হওয়ার পর স্ত্রী মধু আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে গাজীপুর থেকে বিকেল সাড়ে ৫ টায় আসেন সদরঘাট। ইদ্রিস এখনো সদরঘাট নৌ টার্মিনালে ঢুকতে পারেননি। ইদ্রিস আলী সাড়ে ৬ টার সময় বলেন, তাঁর লঞ্চটি ছাড়ার কথা ছিল সাড়ে ৫ টায়। কিন্তু তিনি ঘাটে ঢুকতে পারছেন না। কারণ টার্মিনাল ঢোকার সব পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সদরঘাট নৌ টার্মিনালে দেখা গেছে, শত শত ঘরমুখো যাত্রী টার্মিনালের গেটের বাইরে অবস্থান করছেন।

পটুয়াখালীতে যাবেন আবদুল কুদ্দুস। রায়েরবাগ থেকে বিকেল সাড়ে ৫ টার পর সদরঘাট নৌ টার্মিনালে আসেন। আব্দুল কুদ্দুস বলেন, শত শত লোক সদরঘাট এসেছেন। গেট বন্ধ থাকার কারণে তাঁরা ঢুকতে পারছেন না।

বিকেল ৩ টার পর থেকে সদরঘাটমুখী যাত্রীদের ঢল নামে। দলে দলে ঘরমুখো মানুষ আসতে থাকে সদরঘাটের দিকে। এদের একজন কুলসুম। তিনি বরিশাল যাবেন। মিরপুর থেকে বিকেল ৫ টায় সদরঘাট এসেছেন তিনি। কুলসুম বেগম প্রথম আলোকে বলেন, আজ গার্মেন্টস ছুটি হয়েছে। তাই ঈদ করতে বাড়িতে যাচ্ছি। কিন্তু ঘাটে তিনি ঢুকতে পারছি না। গেট বন্ধ।

আসাদুজ্জামানভোলা যাবেন বৃদ্ধ হোসনে আরা। সদরঘাট টার্মিনালের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, তাঁরা এসেছেন সাড়ে ৪ টার পর। কিন্তু লঞ্চের দেখা এখনও পাননি। গেটই তো বন্ধ। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দেখা গেল, ইফতারির সময় কয়েকশ ঘরমুখো যাত্রী টার্মিনালের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। যাত্রীদের কথা, ঈদের সময় ভিড় হয় কিন্তু এমন ভিড় তাঁরা দেখেননি। সদরঘাটে আসার পর তাঁরা লঞ্চে গিয়ে বসেন। ঘাটে আসার পর বাইরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

আজ গেট বন্ধ থাকার কারণে অনেক মানুষকে দেয়াল টপকে লঞ্চের ঘাটে যেতে দেখা গেছে। রাত ১১টার দিকে নৌপুলিশের হাসনাবাদ ফাঁড়ির পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম বলেন, এখন যাত্রীর চাপ কমেছে। সবগুলো গেট খোলা আছে। যাত্রীরা যার যার গন্তব্যে নিরাপদে যেতে পারছেন। নিরাপত্তার কারণেই মাঝে মাঝে গেট বন্ধ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *