মেঘনায় ইলিশ না পড়ায় ভোলার জেলে পল্লীতে ঈদের আনন্দ নেই

Slider গ্রাম বাংলা

মৌসুম শুরু হলেও ইলিশের দেখা মিলছে না ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে। এতে অভাব অনাটন আর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন জেলেরা। ইলিশ মাছ না পাওয়ায় তাদের পরিবারে এবার ঈদের কোন আনন্দ নেই। লোকসান গুনছেন আড়ৎদার ও পাইকাররা।

অনেক জেলেই দেনার দায় নিয়ে চরম সংকটের মধ্যে পড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, হতাশ হওয়ার কিছু নেই, বৃষ্টি কম থাকায় নদীতে মাছ কম পড়ছে। বৃষ্টি শুরু হলে মাছ ইলিশের দেখা মিলবে বলে তারা আশা করছে।

টানা ২ মাস ভোলার মেঘনা তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরা নিষেধ ছিল। ৩০ এপ্রিল ওই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর ১ মাস পেরিয়ে গেলেও ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না রূপালী ইলিশ। সারাদিন জাল ফেলে যে পরিমাণ মাছ ধরা পড়ছে তা দিয়ে খরচ উঠছে না।

জেলেদের আশা ছিল এবারের রমজানে বেশ বৃষ্টি হবে। প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে তাদের জালে। পুরো রমজানে প্রচুর ইলিশ পাবে আর তা বিক্রি করে ঈদে সকলের জন্য নতুন নতুন জামা কাপড় শাড়ি লুঙ্গি কিনবে। সকলের মুখে হাসি ফুটাতে পারবে। এবারের ঈদ বয়ে আনবে অনাবিল আনন্দ। কিন্তু চিত্রটি সম্পূর্ণ উল্টো। নদীতে মাছ নেই। তাই ওই জেলে পরিবারে এবার ঈদের কোন আনন্দ নেই।

জেলেদের জালে ইলিশের দেখা নেই। তাই ভোলা উপকূলের ১২৭টি ঘাটে ঘাটে নোঙ্গন দেয়া জেলেদের নৌকা ও ট্রলার অপেক্ষা করছে। আড়তে অলস সময় পার করছেন আড়ৎদাররা। দু’এক ঝুড়ি মাছ ঘাটে আনা হলেও আগের মতো নেই হাকডাক। জেলের সাথে সাথে ব্যবসায়ীরাও হতাশ।

সরকারি হিসাবে ইলিশ ধরার উপর নির্ভরশীল এমন জেলে রয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার। তবে নিববন্ধনের বাইরে আরো জেলে রয়েছে দুই লাখের অধিক। প্রতি বছর ইলিশ ধরার সময়ে তারা জাল, নৌকা ও ট্রলারসহ অনান্য সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে নামেন। তারই ধারাবাহিকতায় এ মৌসুমেও নতুন উদ্যামে জাল নৌকা নিয়ে মাছ শিকারে গিয়ে তারা এখন হতাশ হয়ে ফিরছেন।

ভোলা সদরের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান জানান, মৌসুম শুরু হলেও বৃষ্টি না থাকায় নদীতে ইলিশ মাছে দেখা মিলছে না। ভারি বর্ষণ শুরু হলে নদীতে প্রচুর ইলিশ মাছ পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *