কাঁচা ও পাকা আমের উপকারিতা।

Slider সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী


ঢাকা: আম এর ইংরেজী নাম (Mango),তার বৈজ্ঞানিক নাম Mangifera indica। এই উপমহাদেশের সবচাইতে সু-স্বাদু ফল। কাচা অবস্থায় এর রং সবুজ এবং পাকা অবস্থায় হলুদ রং হয়ে থাকে।পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ প্রজাতির আম আছে। আমের বিভিন্ন জাত (Varity) আছে, যেমন ল্যাংড়া, ফজলি, গোপালভোগ, খিরসা, আম্রপালি, অরুনা, মল্লিকা, সুবর্নরেখা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কালীভোগ, কাচামিঠা, আলফানসো, বারোমাসি, তোতাপূরী, কারাবাউ, কেঊই সাউই, গোপাল খাস, কেন্ট, সূর্যপূরী, পাহুতান, ত্রিফলা ইত্যাদী। আম গাছকে বাংলাদেশের জাতীয় গাছের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
আমে খনিজ লবন এবং ভিটামিন উপাদান (ভিটামিন এ ভিটামিন সি, ভিটামিন -বি৬), পটাসিয়াম, কপার লৌহ এবং এমাইনো এসিড রয়েছে । এছাড়াও আমে বায়োলজিকাল উপাদান, প্রো ভিতামিন এ বেটা ক্যারোটিন , লুশিয়েন এবং আলফা ক্যারোটিন পলি পিথানল কিউরেচিন কাম্ফারল, জিলাইক এসিড ক্যফিক এসিড, সহ আরও অনেক উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থের জন্য অনেক উপকারী।

reddomac_1398333321_3-Mango

পাকা আমের উপকারিতা
১। পাকা আম ত্বক সুন্দর, উজ্জ্বল ও মসৃণ করে। এটি ভেতর ও বাইরে থেকে উভয়ভাবেই ত্বককে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। আম ত্বকের লোমের গোড়া পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, ও ব্রণের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে।

২। পাকা আম ত্বকের রোমের গোড়া পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ফলে মুখের ও নাকের উপর জন্মানো ব্ল্যাকহেড দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পাকা আম খেলে মুখের কালো দাগ দূর হবে।

৩। পাকা আমের আঁশ, ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে সহায়তা করে। এতে আছে প্রয়োজনীয় এনজাইম যা শরীরের প্রোটিন অণুগুলো ভেঙ্গে ফেলতে সাহায্য করে যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

৪। এ আমে আছে প্রায় ২৫ রকমের বিভিন্ন কেরাটিনোইডস যা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে রাখবে সুস্থ ও সবল।

৫। এক কাপ আম আপনার দৈনন্দিনের ভিটামিন এ এর চাহিদার প্রায় পঁচিশ শতাংশের যোগান দিতে পারে? ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী। এটি চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং রাতকানা রোগ হওয়া থেকে রক্ষা করে।

৬। এই ফলে পাওয়া যায় টারটারিক এসিড, ম্যালিক এসিড ও সাইট্রিক এসিড যা শরীরে অ্যালকালাই বা ক্ষার ধরে রাখতে সহায়তা করে অনেকাংশেই।

৭। আমের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিনা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। স্তন, লিউকেমিয়া, কোলন সহ প্রোস্টেট ক্যান্সারকেও প্রতিরোধে সহায়তা করে আম। এতে প্রচুর এনজাইমও পাওয়া যায়।

৮। পাকা আম টাশিয়ামসমৃদ্ধ হওয়ায় হার্টবিট ও রক্তস্বল্পতা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এটি কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, লিউকেমিয়াসহ প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে আম।

কাঁচা আমের উপকারিতা

১। দিয়ে কাঁচা আম খেলে শরীরের অতিরিক্ত ক্ষতিকর পানি থেকে দেহকে রক্ষা করে এবং শরীরের তৃষ্ণা মিটায়। উপরন্তু, এটা খুব উচ্চ তাপমাত্রার নেতিবাচক প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করে।

২। গ্রীষ্মকালে কাঁচা আমের জুস অত্যধিক ঘাম এর কারনে সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং লোহার অত্যধিক ক্ষতি রোধ করে।

৩। শুকনো আম পাউডারকে বলা হয় ‘আমচুর’। এটি স্কার্ভি চিকিত্সায় অত্যন্ত উপকারী (ভিটামিন সি এর অভাব)।

৪। কাঁচা আম পেক্টিন (pectin) একটি সমৃদ্ধশালী উৎস, মধু এবং লবণ দিয়ে মিশিয়ে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগের চিকিত্সা অত্যন্ত উপকারী। এটি গ্রীষ্মকালীন ডায়রিয়া, আমাশয়, পাইলস, দীর্ঘস্থায়ী এঁড়ে, বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের জন্য ওষুধ হিসেবে খুব কার্যকর হিসাবে বিবেচনা করা হয় ।

৫। কাঁচা আম এর উচ্চ ভিটামিন সি রক্তনালীসমূহের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে এবং নতুন রক্ত কোষ গঠনে সাহায্য করে। এটা, যক্ষা, রস্বল্পতা, কলেরা এবং অতিসার রোগের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৬। কাঁচা আমের সঙ্গে চিনি, জিরা এবং চিম্টি লবণ, মিশিয়ে সেদ্ধ করে জুস করে খেলে ঘামাচি রোধ করতে সাহায্য করে, এবং গ্রীষ্মকালে স্ট্রোকের ঝুকি হতে রক্ষা করে।

৭। এটা যকৃতের রোগ চিকিত্সায় সাহায্য করে ও পিত্ত অ্যাসিড কমায় এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে লিভারকে রক্ষা করে।
এটা পিত্ত অ্যাসিড লুকাইয়া বৃদ্ধি ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ আঁত পরিষ্কার হিসেবে যকৃতের রোগ চিকিত্সায় সাহায্য করে.

৮। কাঁচা আমে পাকা আমের তুলনায় অধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি আছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শরীরকে রক্ষা করে।

৯। এটা মর্নিং সিকনেস চিকিত্সার সহায়ক।

১০। কাঁচা আম ভিটামিন সি এর সমৃদ্ধ উৎস এবং এটি মনোবল উন্নত করে ও রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে।

১১। পাকা আম রক্ত পরিষ্কার করে আমের টারটারিক, ম্যালিক, সাইট্রিক এসিড শরীরে অ্যালকোহল ধরে রাখতে সহায়তা করে

১২। আমের ভেশজ গুন আম আমাদের স্কিন ক্যান্সার সহ বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময় করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *