তুরাগে নেই খেলার মাঠ ও বিনোদন কেন্দ্র, বাধাগ্রস্থ হচ্ছে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ

Slider ঢাকা


মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক সুমন ,উত্তরা প্রতিনিধিঃ রাজধানীর তুরাগ থাানাধীন এলাকাটি গত বছর এক গেজেটের মাধ্যমে সিটির অর্ন্তভুক্ত করা হয়। সাবেক হরিরামপুর ইউপিকে ভেঙ্গে চারটি ওর্য়াডে ভাগ করা হয়। ভাগ হওয়া নতুন ৫২,৫৩,৫৪ নং ওয়ার্ড গুলোতে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন জনপ্রতিনিধিও নিযুক্ত হয়েছেন। আর ৫১ নং ওয়ার্ডটি উত্তরা মডেল টাউনে অবস্থিত বিধায় এখানকার সুযোগ সুবিধা তুরাগের অন্য ওয়ার্ডগুলোর তুলনায় অনেক উন্নত। নতুন সিটির এ ওয়ার্ডগুলোতে বাচ্ছাদের বিনোদনের জন্য কোন খেলার মাঠ নেই। আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে ওয়ার্ডগুলোতে নতুন নতুন হাইরাইজ আবাসিক ভবন তৈরী হলেও সিটির নূন্যতম সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে এলাকাবাসি।

সরেজমিনে দেখা যায়, তুরাগের এ ওয়ার্ডগুলোতে অনেক স্কুল কলেজ গড়ে উঠলেও শিশুদের খেলাধুলার নেই কোন মাঠের ব্যবস্থা। প্রায় ৫ লক্ষাধিক লোকের গণবসতিপূর্ণ এলাকাটিতে পাল্লা দিয়ে আধুনিক নগর গড়ে উঠলেও নাগরিক সুবিধা বাড়ছে না সেভাবে। অনেক অভিভাবক প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আক্ষেপ করে জানান, এলাকার স্থানীয়রা বাড়ী ভাড়া পাওয়ার আসায় অল্প সল্প খোলা জায়গাতে স্থাপনা তৈরী করে ফেলছেন। যে জায়গাগুলোতে শিশুদের নিয়ে একটু হাটাচলা বা খেলাধুলা করা যেত। জমির মালিক তার জায়গা যা ইচ্ছা গড়ে তুলতে পারেন তাতে আমরা কোন সমস্যা দেখছি না কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা এসব বাসিন্দাদের নূন্যতম সুবিধাদি নিশ্চিত করতে পারছেন না। ভোটের আগে নির্বাচিত প্রায় সব কাউন্সিলরই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাচ্চাদের খেলাধুলার জায়গা বের করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো পর্যন্ত সেই বিষয়ে কোন অগ্রগতি আমরা দেখতে পাচ্ছি না। অবস্থা এমন যে আগামী কয়েক বছরেও এর কোন সুরাহার লক্ষনও আমরা দেখছি না।

এলাকাবাসির মতে, বাড়ি বাড়াসহ আনুসাঙ্গিক সব বিলপত্র আধুনিক শহরের সমান নিলেও সুবিধা নেই সেই তুলনায় ১০ শতাংশও। সিটির নতুন এলাকটিতে একটি সুন্দর কর্মপরিকল্পনা না নেওয়া গেলে এলাকার হাজার হাজার শিশুর বিকাশের পথ বাধাগ্রস্থ হতে পারে। তাছাড়া নূন্যতম সুবিধা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব্যের মধ্যে পড়ে। এ নিয়ে তারা কি করছেন আমরা এখনো কিছু জানি না।

৫২ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর জানায়, আলহাজ্ব মোঃ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আপনি যে বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়েছেন এটি আমার নির্বাচনী প্রধান অঙ্গিকার। এগুলো করার জন্য আমরা মেয়র মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করেছি।

এ বিষয়ে ৫৩ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আমাদের উদ্যোগ আছে। আমরা চেষ্টা করছি। যেহেতু এলাকাটি রাজউকের অধিনে নয় বিধায় আমাদেরকে জায়গা অধিগ্রহন করে খেলার মাঠসহ নূন্যতম একটি কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন করতে হবে। এটা আমাদের অগ্রাধিকার প্রকল্প।

৫৪ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ প্রতিবেদকে বলেন, মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথা হয়েছে। একটা খেলার মাঠ, একটি পার্ক ও একটি কমিউনিটি সেন্টার আমার এলাকার মেগা প্রকল্প। আশা করি দ্রুতই শুরু করা যাবে। প্রয়োজনীয় জায়গা খুজতে আমরা কাজ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *