ঢাকা: রাজধানীর সবুজবাগের বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশানে কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সবুজবাগ শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এর আগে বিকেল ৫টায় তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠান (দাহ) শুরু হয়।
সঙ্গীতে একুশে পদকপ্রাপ্ত সুবীর নন্দী মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে চারটায় সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। গত ৩০ এপ্রিল থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আজ বুধবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে করে দেশের এই জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীর মরদেহ ঢাকার হযরত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দর থেকে তাঁর মরদেহ রাজধানীর গ্রিন রোডের গ্রিন ভিউ অ্যাপার্টমেন্টের বাসায় নেওয়া হয়।
এরপর ঢাকেশ্বরী মন্দির হয়ে শহীদ মিনারে জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন, চ্যানেল আই ও পরে রামকৃষ্ণ মিশনে নিয়ে যাওয়া হয়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পরিচালনায় বেলা ১১ টার দিকে সুবীর নন্দীর মরদেহ সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়।
শহীদ মিনারে রাজনীতিক, সংগীত শিল্পী, গীতিকার, সংগীত জগতের ব্যক্তিবর্গ, লেখকসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার এবং অগণিত সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী দেশের কৃর্তিমান এই শিল্পীর কফিনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শেষ বিদায় জানান। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সময় শিল্পীর স্ত্রী, মেয়েসহ পরিবারের সদস্যরা ও আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
নন্দিত কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী ৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রেও উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। ১৯৮১ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ ডিসকো রেকর্ডিংয়ের ব্যানারে বাজারে আসে। তবে চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে আব্দুস সামাদ পরিচালিত ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে।