ঢাকা: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ রোববার থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অনেক জায়গায় তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফণী’। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় দেশের সব কটি সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ সিলেট ও ময়মনসিংহ এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। কুমিল্লা, নোয়াখালী, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের কয়েকটি স্থানে কালবৈশাখী ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। বেশ কয়েকটি স্থানে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।
গতকাল শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীতে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঘূর্ণিঝড়টি এখনো দুর্বল অবস্থায় আছে। বাংলাদেশ থেকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের দিকে এগোচ্ছে। আজ রোববারের মধ্যে ঝড়টি বর্তমান অবস্থা থেকে কিছুটা সরে গিয়ে ভারতের ওডিশা প্রদেশের দিকে যাবে। পরে আবার বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলের দিকে এগোতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ এখনো খুব বেশি নয়। অনেক দূরে অবস্থান করলেও এর বাংলাদেশের দিকে আসার আশঙ্কা বেশি। আর যদি বাংলাদেশের দিকে আসে, তাহলে শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আজ রোববারের মধ্যে এর গতিমুখ স্পষ্ট হবে বলে জানান তিনি।
গতকাল রাত আটটায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১ হাজার ৯৫৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ১ হাজার ৮৫৫, মোংলা থেকে ১ হাজার ৯২৫ ও পায়রা থেকে ১ হাজার ৮৮৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। এর আগে চলতি বছরে ঘূর্ণিঝড় পাইলিন বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়ে ওডিশা উপকূলে আঘাত হানে। গত বছরও বঙ্গোপসাগরে মোট ছয়টি ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়। তার সব কটি ভারত ও মিয়ানমারে আঘাত হানে।