রায়পুরে ঝড়ে সয়াবিন-ধানের ব্যাপক ক্ষতি, দিশেহারা কৃষক

Slider গ্রাম বাংলা

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও প্রচণ্ড শিলা বৃষ্টিতে খেতের ধান ও সয়াবিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হঠাৎ ঝড়ে শস্য ঘরে তোলার আগ মুহূর্তে কৃষকের স্বপ্ন হঠাৎ করে অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। অসময়ে মুষলধারে কয়েক ঘণ্টার শিলা বৃষ্টি ম্লান করে দিয়েছে কৃষকের স্বপ্ন। পাশাপাশি এ উপজেলায় উপকূলীয় অঞ্চলে গাছপালা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এবার প্রায় ৭ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে সয়াবিনের ও ৪শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে এসকল ফসলের ৬০ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এভাবে আর একদিন বৃষ্টি হলেই সয়াবিন ও ধান পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলার উপকূলীয় চরলক্ষী, মিয়ারহাট, কানি বগার চর, চরবংশী, জালিয়ার ও বেঁড়িবাধের বাইরের এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।
এছাড়া বেঁড়িবাধের দু’পাশের কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের কারণে বিদ্যুতের তিনটি খুটি পড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকবল সংকটের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারছে না বলে জানান বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন।

জালিয়ারচর এলাকার কৃষক আব্দুল গণি বলেন, ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ৩ একর জমিতে সয়াবিনের চাষ করি। ফসল ঘরে তোলার ঠিক আগ মুহূর্তে প্রচণ্ড ঝড় আর শিলা বৃষ্টিতে আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। কিভাবে ব্যাংকের লোন পরিশোধ করবো তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার জানান, কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা মাঠ পর্যায়ের প্রকৃত চিত্র জানতে আমরা চেষ্টা করছি। শিলা বৃষ্টির পরপরই আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে কৃষকদের সহায়তা করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *