নৌকার পরাজয়ের নেপথ্যে

Slider রাজনীতি

চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খুলনার অধিকাংশ উপজেলায় নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। এতে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি দেখা দিয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের মতে, স্থানীয় পর্যায়ে তৃণমূলের ক্ষোভ, জনসম্পৃক্ততা না থাকা, দায়িত্বশীল পদে থাকাকালে প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ও ব্যক্তিগত সমালোচনা নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে। জানা যায়, গত রবিবার খুলনা জেলার ৬টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে নৌকা প্রতীক নিয়ে রূপসা উপজেলায় কামাল উদ্দিন বাদশা ও পাইকগাছায় গাজী মোহাম্মদ আলী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। বাকি চারটি উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকার বিদ্রোহীরা জয়লাভ করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আইনজীবী সুজিত অধিকারী বলেন, প্রার্থীদের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা না থাকায় নির্বাচনে খেসারত দিতে হয়েছে।
এ ছাড়া দায়িত্বশীল পদে থাকাকালে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের মূল্যায়ন না করায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ও ব্যক্তিগত সমালোচনা পরাজয়ের বড় কারণ। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, পরপর নির্বাচন করলে জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। জনসম্পৃক্ততা না থাকায় কয়রাসহ কয়েকটি উপজেলায় দলের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। তিনি বলেন, স্বানীয় সরকার নির্বাচনে দলের মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থী নির্বাচন করেন, এক্ষেত্রে তৃনমূল নেতাকর্মীদের কিছুু বলার থাকে না।
জানা যায়, বিগত সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কয়রা উপজেলার নৌকার প্রার্থী জিএম মহসিন রেজা দুর্নীতির অভিযোগে বহিস্কৃত হয়েছিলেন। এবারও তাকে দলীয় প্রার্থী করায় শুরু থেকেই দলের একাংশ তার বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিল। এছাড়া তেরখাদায় নৌকার প্রার্থী সরফুদ্দিন বিশ্বাস বা”চুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বানীয় কোন্দলে মদদ দেয়া ও দলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করার অভিযোগ ছিল। এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বাচ্চু প্রায় ১৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *