যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত: বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় নি

Slider সারাবিশ্ব

ঢাকা: ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে আগে যে মন্তব্য করেছে সেই অবস্থানেই অটল রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এমনটা জানিয়েছেন মুখপাত্র রবার্ট প্যালাদিনো। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এতে আমরা বলেছি, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত (জাতীয় সংসদ) নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না। এতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতার যে দীর্ঘ ইতিহাস আছে তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনার অধীনে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপক প্রশংসা করেন।

এখানে প্রশ্নোত্তর আকারে ব্রিফিংয়ের বাংলাদেশ অংশটি তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: সম্প্রতি প্রকাশিত মানবাধিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। এটা সুস্পষ্ট, বিরোধী দল এই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে।
তাই আমি বিস্মিত। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র কি কি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান হলো, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হয় নি?

উত্তর: ধন্যবাদ, মুশফিক। আমি শুধু বলবো যে, আপনি যেমনটা সঠিকভাবে তুলে ধরেছেনÑ সম্প্রতি আমরা মানবাধিকার রিপোর্ট প্রকাশ করেছি। আমরা বলেছি যে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না। এতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। এর মধ্যে আছে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা। বিরোধী দলীয় পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ভীতিপ্রদর্শন। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে সহযোগিতা, সহনশীলতার দৃষ্টিভঙ্গির দীর্ঘ একটি ইতিহাস। আছে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ- যা তার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করে, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখায় এবং তার শাসন কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নতি করতে চায়। বাংলাদেশে রয়েছে চিত্তাকর্ষক অর্থনৈতিক উন্নয়ন। আছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের নজরকাড়া রেকর্ড। আছে গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা। প্রতিযোগিতার লক্ষ্য নয় এসব। এতে আসলে অর্থনৈতিক উন্নতি শক্তিশালী হবে। তাই পারস্পরিক এসব লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে ক্ষমতাসীন সরকার ও বিরোধীদের সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করে যেতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি আমি এখানেই ছেড়ে দিতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *