মাছ রফতানি করে আয় ৪ হাজার ৩১০ কোটি টাকা

Slider জাতীয়

মাছ ও মৎস্যজাত পণ্য রফতানির মাধ্যমে বাংলাদেশ গত অর্থ-বছরে ৪ হাজার ৩১০ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। জিডিপিতে যার অবদান ৩.৫ শতাংশ।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয় এবং স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে।

সংসদ ভবনে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠকে এসব তথ্য তুলে ধরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম, শহিদুল ইসলাম (বকুল), নাজমা আকতার, শামীমা আক্তার খানম এবং কানিজ ফাতেমা আহমেদ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত অর্থ-বছরে মৎস্য উৎপাদন ছিল ৪২.৭৭ লাখ মেট্টিক টন, যার মধ্যে ইলিশের উৎপাদন ছিল ৫.১৭ লাখ মেট্টিক টন।

এছাড়া গত অর্থ-বছরে দুধ উৎপাদন ছিল ৯৪.০৬ লাখ মেট্টিক টন এবং ডিম উৎপাদন ছিল ১৫৫২ কোটি।
বৈঠকে জানানো হয়, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট মাছের প্রজনন, জাত উন্নয়ন ও চাষাবাদ বিষয়ক এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এ পর্যন্ত ৬০টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।

কমিটি মৎস চাষকে আরও উৎসাহিত করতে এবং জাটকা নিধন বন্ধে জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ করার সুপারিশ করে। একইসঙ্গে জেলেরা কোন মালিকের অধীনে কাজ করে কিনা সে-টাও যাচাই করার সুপারিশ করে।

বৈঠকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন দফতরের প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *