
বিস্ময়কর এই পাথরটি রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্স-কে গবেষণার জন্য দিয়েছি খনি কর্তৃপক্ষ। এই পাথরের হিরকগুলো এতটাই ছোট আকারের যে তা জেমস হিসেবেও ব্যবহারের উপযোগী নয়।
বিজ্ঞানীরা এক্স-রে এর মাধ্যমে পরীক্ষা করেছেন পাথরটি। দেখা গেছে, পাথরের ভেতরের হীরাগুলো অষ্টতলীয় এবং প্রতিটির আকার ১ এমএম করে। পাথরের নিচের দিকে হীরাগুলো এমনভাবে অবস্থান করছে, যেন দুটি পিরামিড একত্রিত হয়ে একটি ভিত গড়েছে। পাথরটি থেকে লাল ও সবুজের আভা বেরিয়ে আসছে এর গ্রানাইট, অলিভাইন এবং পাইরোক্সিন ক্রিস্টাল থেকে।
ইউনিভার্সিটি অব টেনেসি এর জিওলজিস্ট ল্যারি টেইলর বলেন, এর অভ্যন্তরে ৩০ হাজারের মতো হীরা রয়েছে। প্রতিটি অষ্টতলীয় এবং বড় কোনো হীরকখণ্ড নয়।
বিজ্ঞানীরা জানান, এই পাথরটি নিয়ে গবেষণা চালালে আরো পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে হীরা কিভাবে তৈরি হয়।
হীরা মূলত প্রচণ্ড তাপে ও চাপে খাঁটি কার্বন দিয়ে তৈরি হয়। ভূখণ্ডের উপরিস্তরে নিচে এটি তৈরি হয় যা প্রায় ১৫০ কিলোমিটার গভীরে রয়েছে।
শাখহা রিপাবলিকের এই খনিটি আর্কটিক সার্কেলের ঠিক বাইরে অবস্থিত। এটি প্রায় ৬০০ মিটার গভীর এবং বিশ্বের উন্মুক্ত কয়লা খনির মধ্যে তৃতীয় গভীরতম খনি।