খাশোগির মরদেহ পোড়ানো হয় সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তার বাসার চুলায়

Slider বিচিত্র

সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর তার মরদেহ সম্ভবত তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেট জেনারেলের বাসার একটি বড় চুলায় পোড়ানো হয়েছে।

এমন তথ্য উঠে এসেছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম ‘আল জাজিরা’র তদন্তে।

‘আল জাজিরা অ্যারাবিক’ এ রবিবার এক ডকুমেন্টারিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনের ঘাতক দলের হাতে খাশোগি নিহতের হওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলা ধরা হয়।

তুর্কি কর্তৃপক্ষ চুলাটি পর্যবেক্ষণ করেছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

এই ডকুমেন্টারিতে আরও বলা হয়, যেহেতু কনস্যুলেট থেকে বের করা ব্যাগটিতে গত ২ অক্টোবর নিহত খাশোগির মরদেহ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে, সেহেতু সেটি কয়েকশ’ মিটার দূরে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলের বাসায় নেয়া অস্বাভাবিক নয়।

গণমাধ্যমটি এক কর্মীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে, যিনি এই চুলা নির্মাণ করেন।

তার মতে, এটি সৌদি কনস্যুলের নির্দেশ অনুসারে নির্মাণ করা হয়। বলা হয়, এটি গভীর এবং ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উৎপন্নকারী হতে হবে যেন ধাতুনির্মিত কোনও কিছু গলানো যায়।
তুর্কি কর্তৃপক্ষের মতে, খাশোগির মৃতদেহ পোড়ানোর পর চুলাটিতে অনেক বারবিকিউয়ের মাংস ভাজা হয়। পুড়ে নিঃশেষ হওয়া খাশোগির মৃতদেহ তিনদিন পর সেখান থেকে সরানো হয় বলে জানিয়েছে তুর্কি সরকারি কর্মকর্তারা।

তুর্কি তদন্তকারীদের মতে, সৌদি কনস্যুলের কার্যালয়ের দেয়ালে লেগে যাওয়া খাশোগির রক্ত ঢাকতে দেয়ালটি রঙ করে ঘাতক দলটি। এই রঙ সরিয়ে তার রক্তের চিহ্ন পাওয়া গেছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তা, রাজনীতিক, এবং খাশোগির কিছু তুর্কি বন্ধুদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই ডকুমেন্টারি তৈরি করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *