বিমানবন্দরের তল্লাশি ব্যবস্থায় অস্ত্র নিয়ে উড়োজাহাজে যাওয়া সম্ভব না: প্রতিমন্ত্রী

Slider সারাদেশ

ঢাকা: বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, বিমানবন্দরে যে তল্লাশি ব্যবস্থা তাতে অস্ত্র নিয়ে উড়োজাহাজে যাওয়া সম্ভব না। আজ সোমবার ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দরের তল্লাশি ব্যবস্থায় অস্ত্র নিয়ে গেলে তা দৃশ্যমান হয়। সবকিছু খতিয়ে দেখা হয়েছে। অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার মতো কিছু পাওয়া যায়নি।

এরপর প্রতিমন্ত্রী বিমানবন্দরের তল্লাশি ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে তা সাংবাদিকদের দেখান।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসান এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকাল রোববার বাংলাদেশ বিমানের ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজ ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ করছে। কমিটির সদস্যরা উড়োজাহাজে থাকা পাইলট ও ক্রুদের সঙ্গে কথা বলবে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলা হবে।

ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজটির (বিজি-১৪৭ ফ্লাইট) ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরই উড়োজাহাজটি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টার টান টান উত্তেজনার পর উড়োজাহাজ ছিনতাইচেষ্টার অবসান ঘটে। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ২৪ মিনিটে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাত্র আট মিনিটের কমান্ডো অভিযানে উড়োজাহাজটিতে থাকা অস্ত্রধারী তরুণ নিহত হন।

ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে কমান্ডো অভিযানে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় উদ্ধারের দাবি করেছে র‌্যাব। আজ সোমবার র‌্যাবের পাঠানো খুদে বার্তায় বলা হয়েছে, অপরাধীদের তথ্যভান্ডার অনুযায়ী ওই ব্যক্তির নাম মো. পলাশ আহমেদ। তাঁর বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের পিরিজপুরে তাঁর বাড়ি। এ ছাড়া ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজটির (বিজি-১৪৭ ফ্লাইট) যাত্রী তালিকা অনুযায়ী, পলাশ আহমেদ অভ্যন্তরীণ রুটের (ঢাকা-চট্টগ্রাম) যাত্রী ছিলেন। তাঁর নাম উল্লেখ ছিল AHMED/MD POLASH। সিট নম্বর ১৭এ।

এদিকে অস্ত্রধারী তরুণের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে রয়েছে। লাশ নিতে কোনো স্বজন মর্গে যাননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *