নেত্রকোনার দূর্গাপুরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি আব্দুল গণি মন্টুকে (৫৩) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)।
র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
এরপর আব্দুল গনি মন্টুকে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করে র্যাব।
সেখানে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১৪ এর উপ-পরিচালক এম শোভন খান বলেন, নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের গুজিরকোনা গ্রামের মৃত আমরোজ আলীর ছেলে আব্দুল গনি মন্টু।
তার ঘরে দুটি বউ থাকার পরও একই গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এতে করে ওই নারী এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে মন্টুকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে মন্টু নানা টালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় দেন দরবারও হয়। কিন্তু কোন উপায়ন্তর না দেখে অবশেষে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে আব্দুল গনি মন্টুকে প্রধান আসামি করে দূর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে একই গ্রামের সহায়তাকারী শাহ আলম ও কালা মিয়াকেও আসামি করা হয়।
ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি দূর্গাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি এজাহারভুক্ত হয়। বিষয়টি র্যাবের নজরে আসলে তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শুক্রবার ভোরে মামলার প্রধান আসামি মন্টুকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ভিকটিমকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন।
তিনি আরো জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেফতারকৃত মন্টুকে দূর্গাপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে আসামি আব্দুল গণি বলেন, এলাকায় অন্যরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু তাকে ফাঁসাতে মামলা করা হয়েছে।