চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের চাক্তাই ভেড়ামার্কেটে বস্তিতে আগুনে পুড়ে দুই পরিবারের সাতজনসহ মোট নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে সবাই ঘুমন্ত অবস্থায় দগ্ধ হয়ে মারা গেছে। আগুন লেগে অন্তত ২০০ বাড়ি পুড়ে গেছে। গতকাল শনিবার গভীর রাতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফয়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের ১০টি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। তবে ঠিক কি কারণে আগুন লেগেছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
জানা গেছে, কর্নফুলীর তীর ঘেঁষে বিশাল জমি দখল করে অবৈধভাবে এই বস্তি গড়ে উঠেছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- এক পরিবারের রহিমা আক্তার (৫০) ও তার মেয়ে নাজমা আক্তার (১৪), ছেলে জাকির হোসেন (৯), মেয়ে নাসরিন (৪)। এছাড়া আরেক পরিবারের আয়েশা আক্তার (৩৭) ও তার ভাগিনা সোহাগ (১৮), হাসিনা আক্তার (৩৯)। বাকি দুইজনের একজনের পরিচয় জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, শনিবার রাত ৩টা ৩২মিনিটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর চারটি ইউনিটের ১০টি গাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। রাত সোয়া ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থল থেকে আটটি পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সকালে আরেকটি শিশুর আগুনে পোড়া লাশ উদ্ধার করা
হয়। কি কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনো আমরা নিশ্চিত নই।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, নিহতরা সবাই রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় তারা ঘর থেকে বের হতে পারেননি। আবার অনেকে ঘর থেকে বেরিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। অবৈধভাবে গড়ে উঠা বস্তিটির চাক্তাই মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশেই অবস্থিত। আশপাশে অনেক মার্কেট ও দোকানপাট ছিল দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে সেগুলো রক্ষা পেয়েছে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন। দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আহতদের খোঁজ-খবর নেন তিনি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নিহতদের প্রত্যেকের দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।