গাজীপুরের এক এস আইকে প্রত্যাহারের নির্দেশ হাইকোর্টের

Slider বাংলার আদালত

ঢাকা: সারাদেশে যত অস্ত্র ও মাদক মামলা রয়েছে সকল মামলার চার্জশিট এক মাসের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার এক এসআইকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি রিয়াজ উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।

একই সঙ্গে আদেশে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত নরওয়ের এক নাগরিকসহ চারজনকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় গাজীপুরের জয়দেবপুরের এসআই আব্দুল হালিমকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া মাদক মামলার তদন্ত ও তদারকির জন্য সেল গঠন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ওই মামলার আসামি নুরুল ইসলাম শেখের আইনজীবী আব্দুল কুদ্দুস বাদল গণমাধ্যমকে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর জয়দেবপুর থানার এসআই মো. আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দশ পিস ইয়াবাসহ রাজু আহমেদ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পরে রাজু আহমেদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নরওয়ে প্রবাসী নুরুল ইসলামসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এরপর ড. মো. নুরুল ইসলাম শেখের রাজেন্দ্রপুরের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তবে, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

এ অবস্থায় ড. মো. নুরুল ইসলাম শেখ হাইকোর্টে হাজির হয়ে ওই মামলায় আগাম জামিন চাইতে হাইকোর্টে ২০১৮ সালের ০৬ ডিসেম্বর আবেদন জানান। পরে আদালত নরওয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি ড. মো. নুরুল ইসলাম শেখকে কেন এবং কীভাবে মাদকের (ইয়াবা) মামলায় আসামি করা হয়েছে গাজীপুরের পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এই ব্যাখ্যা দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।

একইসঙ্গে, ঘটনা তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে ড. মো. নুরুল ইসলাম শেখকে চার সপ্তাহের জামিন দিয়েছিলেন আদালত।

আদালতের আদেশের পরে এক সপ্তাহের মধ্যে নুরুল ইসলামকে বাদ দিয়ে (১০ ডিসেম্বর) অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। আর এ বিষয়টি হাইকোর্টের তদন্তে উঠে আসে। ওই প্রবাসীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করার কারণে এ মামলার বাদী জয়দেবপুর থানার এসআই আব্দুল হালিমকে তলব করেন হাইকোর্ট।

নুরুল ইসলাম শেখ ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে বৃত্তি নিয়ে ইংল্যান্ডে যান। সেখানে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পর নরওয়ের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। সেখানে থাকাবস্থায় সম্প্রতি নিজ এলাকা রাজেন্দ্রপুরে ‘নরওয়ে-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা করেন। এ কারণে তিনি নরওয়ে-বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করেন। কিন্তু পুলিশ তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *