শ্রীপুরে বাকপ্রতিবন্ধীর রহস্যজনক ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

Slider নারী ও শিশু

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ বাক প্রতিবন্ধী খাদিজা (১২) এর জন্মের পর থেকেই মনোমালিন্য চলছিল বাবা-মায়ের। বাবা পেশায় একজন ‘চা’ বিক্রেতা।

খাদিজার জন্মের কিছুদিন পরেই স্বামীকে ছেড়ে নিজ বাড়িতে চলে আসেন তার মা শিল্পী আক্তার (৩০)। অতঃপর ২য় বারের মতো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় সে। নতুন বাবা ও মা (শিল্পী আক্তার) দুজনেরই খুব আদরের ছিল মেয়ে ছিল খাদিজা।

খাদিজা কিছু বলতে ও শুনতে পেতো না। বাক-প্রতিবন্ধী হলেও ১২ বছরের এই কিশোরী ছিলো সকলের আদরের। খাদিজা সারাদিন চাঞ্চল্যকরভাবেই হাসাহাসি ও খেলাধূলা করেই কাটাতো। খাদিজার মায়ের ২য় বিয়ের পর একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। ছেলের অনেক দিন যাবৎ ডায়রিয়া থাকায় আজ সকালে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যায়। সর্বদায় হাস্যজ্জল থাকতো খাদিজার মুখ। তাই হয়তো আদরের কমতি ছিলনা! ইশারাতেই সবাইকে সবকিছু বোঝাতে সক্ষম ছিল খাদিজা। কিন্তু ৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে
গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বহেরার চালা গ্রামে তারই নানাবাড়িতে সকল ইশিরার ইতি ঘটলো!

শুক্রবার বিকেল ৫টায় নিহতের খালা সুলতানা বেগম খাদিজা ঘরের ভেতর থেকে আটকানো দেখে পাশের রুমের সানশেডের উপর দিয়ে প্রবেশ করলে খাদিজাকে গলায় রশি লাগানো অবস্থায় দেখতে পায়। তবে, ‘পা’ প্রায় হাঁটু পর্যন্ত ফ্লোর রহস্যজনকভাবে ছুঁয়ে ছিল! খাদিজার মা বাড়িতে না থাকায় মেয়ের ঝুলন্ত লাশের ব্যাপারে কিছুই জানাতে পারেনি। নিহত খাদিজা আক্তার (১২) শ্রীপুর উপজেলার বেড়াইদের চালা গ্রামের মোঃ বিল্লাল হোসেনের কন্যা।

খাদিজার পিতা বিল্লাল হোসেন জানান, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি! তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে!

উল্লেখিত বিষয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এখলাসুর রহমান ফরাজি জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *