স্বামী নয় পরকিয়া প্রেমিক জবাই করে হত্যা করে জান্নাতকে!

Slider গ্রাম বাংলা

রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের যোগিরসিট গ্রামের বেগুন ক্ষেতে গলা, হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয় জান্নাতুল আক্তার নামে এক গৃহবধূকে। এ ঘটনায় গৃহবধূর ভাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত করে হত্যা কা-ের তিন দিন পর রহস্য উদঘাটন করে মূলহুতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার মো.পলাশ আহমেদ (২২) ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। সে একটি গার্মেন্টেসে চাকুরী করে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্রীপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.শহিদুল ইসলাম মোল্লার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে ময়মনসিংহের ভালুকার স্কায়ার মাস্টার বাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

এসআই মো.শহিদুল ইসলাম মোল্লা বলেন, গৃহবধূ জান্নাতের মোবাইল ফোনের ফোনালাপের রেকর্ড হাতে নিয়ে মামলাটির তদন্ত কাজ শুরু করি। যেখানে দেখা যায় গ্রেপ্তার পলাশের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার থেকে হত্যার দিন সন্ধ্যায় জান্নাতের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এর আগেও এই নাম্বার থেকে প্রতিনিয়িত মোবাইলে কথা হতো জান্নাতের সঙ্গে। তদন্ত করে প্রাথমিক ভাবে হত্যাকা-ের সাথে জড়িত সন্দেহ হলে তাকে আটক করা হয়। পরে সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সকল অপরাধের কথা স্বীকার করে।

গ্রেপ্তার পলাশের বক্তব্য তুলে ধরে এসআই মো.শহিদুল ইসলাম বলেন, ছয় মাস পূর্বে জান্নাতের সাথে পরিচয় হয় পলাশের। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের পাশাপাশি শারীরিক সম্পর্কও গড়ে উঠে। এরপর বিয়ের প্রস্তাব দিলে রাজি হয় না পলাশ। তখন জান্নাত কয়েক লাখ টাকা দাবি করে পলাশের কাছে। দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পলাশের বাড়িতে উঠে পরার হুমকি দেয় জান্নাত। সেই ভয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিয়ের কথা বলে জান্নাতকে ডেকে আনে পলাশ। পরে যোগিরসিট গ্রামের মোস্তাফা কামালের বেগুন ক্ষেতে নিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় সে।

শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদুল ইসলাম বলেন, হত্যার কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে জাবানবন্দি দিয়েছে পলাশ। আগামীকাল শনিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, মামলায় গৃহবূধর স্বামীকে আল-আমিনকে আসামী করা হলেও এখন পর্যন্ত তাঁর কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে এখনো মামলাটির তদন্ত কাজ চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *