বাংলাদেশের ‘অগণতান্ত্রিক নির্বাচনী পরিবেশ’ নিয়ে উদ্বেগ আনফ্রেলের

Slider সারাবিশ্ব


ঢাকা:রোববারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (আনফ্রেল)। তারা বলেছে, নিষেধাজ্ঞামূলক নির্বাচনী পরিবেশে অনুষ্ঠিত ৩০ শে ডিসেম্বর হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচন ঘোষণা করার পর থেকেই সুশীল সমাজ, বিরোধী দল ও মিডিয়ার ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এর মাধ্যমে খর্ব করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ক্ষয়ে আসা গণতান্ত্রিক স্বাস্থের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। আর এতে আসন্ন নির্বাচনের বিশুদ্ধতার ওপরও চাপ সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার নিজস্ব ওয়েবসাইটে একটি যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে আনফ্রেল। এতে স্বাক্ষর করেছে কমপক্ষে ১৬টি মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আনফ্রেলের পর্যবেক্ষক আসার কথা ছিল। কিন্তু ভিসা বিলম্বিত করার কারণে শেষ পর্যন্ত তা বাতিল হয়। তারপরও তারা বাংলাদেশের নির্বাচনের ওপর দৃষ্টি রাখছে।

বিবৃতিতে আনফ্রেল লিখেছে সত্যিকার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতা ও ভীতির কোনো স্থান থাকতে পারে না। ২৬শে ডিসেম্বর পর্যন্ত মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করা হয় ১০ই ডিসেম্বর। ওই সময় থেকে বিরোধী দলের গাড়িবহরে কমপক্ষে ৩০টি হামলা হয়েছে। ১৫৯টি সংসদীয় আসনে ২০৭টি সহিংসতা ঘটেছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কমপক্ষে ৪৩ জন প্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে। মারাত্মক আহত হয়েছেন তাদের ১৩ জন প্রার্থী। গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বিরোধী দলের ১৭ জন প্রার্থীকে। অন্যদিকে ২৩টি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থীদেরকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন। উপরন্তু, রিপোর্টিং পিরিয়ডে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৫ জন। আহত হয়েছেন ২৬৮২ জন। এ ছাড়াও বিরোধী দলীয় সদস্যদের প্রহার, দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি আগুন দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া, নারী প্রার্থীদের ওপর হামলা, বিরোধী দলের নির্বাচনী র‌্যালিতে বাধা দেয়ার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এসব হামলার উদ্দেশ্য একটিই। তাহলো বাংলাদেশী ভোটারদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেয়া এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডকে খাটো করা।
(বিস্তারিত আসছে)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *