সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলা

Slider বাংলার মুখোমুখি


শেরপুর: শেরপুর-১ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কার গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সানসিলার ব্যক্তিগত সহকারী শাহপরান, মা নিলুফা খানমসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।

গতকাল সোমবার বিকেলে শেরপুর সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদসংলগ্ন বারুয়ামারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সানসিলা।

বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সানসিলা সদর উপজেলার বেতমারী-ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নে গণসংযোগ করতে যান। এ সময় বারুয়ামারী গ্রামে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা প্রথমে তাঁকে বাধা দেন ও এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। পরে লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএনপির প্রার্থীকে বহনকারী জিপগাড়ির ওপর হামলা করেন। এতে গাড়ির পেছনের জানালার কাচ ভেঙে যায়। হামলায় সানসিলার ব্যক্তিগত সহকারী শাহপরান, মা নিলুফা খানমসহ ছয়জন আহত হন। পরে তাঁরা সেখান থেকে দ্রুত জেলা সদরে চলে আসেন।

সানসিলা জেবরিন সন্ধ্যায় বলেন, হামলার বিষয়টি তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে মৌখিকভাবে অবহিত করেছেন। বর্তমানে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া না হলে তাঁর (সানসিলা) পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে না।

বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘এখানে “লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড” বলতে কিছু নেই। আওয়ামী লীগের প্রার্থী অবাধে নির্বাচনী প্রচারণা ও জনসভা করতে পারলেও আমাদের প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’

বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ অস্বীকার করে বেতমারী-ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুল মজিদ বলেন, ঘটনার সময় তিনি পরিষদে অবস্থান করছিলেন। এ ঘটনার সঙ্গে তাঁর দলের কেউ জড়িত নয়।

অপরদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগগুলো লিখিতভাবে দেওয়ার জন্য তাঁকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী সানসিলা জেবরিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর মেয়ে। ঋণ খেলাপের কারণে হযরতের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেলে দল থেকে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে চার মাস ধরে তিনি ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *