‘ফাইভ-জি’ নেটওয়ার্ক চালুর ফলে শতাধিক পাখির মৃত্যু

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি

চারদিকে চলছে প্রযুক্তির বিপ্লব। কে কত দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে,‌ লড়াই তা নিয়েই।

থ্রি-জি, ফোর-জি’র পর এবার গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে ফাইভ-জি নেটওয়ার্কিং পরিষেবা। কিন্তু প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে পরিবেশের যে ক্ষতি হচ্ছে, সেদিকে কারও ভ্রুক্ষেপ নেই।
প্রযুক্তির রোষ কত ভয়ানক হতে পারে, নেদারল্যান্ডসে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি পরিষেবা চালু হওয়ার পর তা বোঝা গেছে। শতাধিক পাখির মৃত্যু হয়েছে এর ফলে। এক সপ্তাহ আগে হগ শহরের হুইগেনসপার্কে বেশ কয়েকটি স্টার্লিং পাখির মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে কেউ খেয়াল না করলেও মৃত পাখির সংখ্যা বাড়তে থাকে। একসময় সংখ্যাটি ৩০০ ছাড়িয়ে যায়।

তারপরই পরীক্ষা করে দেখা যায়, বিষ বা বাহ্যিক কোনও আঘাত নয়, দেহের ভিতরে রক্তক্ষরণের কারণেই পাখিগুলি মারা গেছে। সম্প্রতি ডাচ রেল স্টেশনে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি পরিষেবা চালু হয়েছে।

তারপর থেকেই শুরু হয়েছে এই ঘটনা। জানা গেছে, রেলস্টেশনের ফাইভ-জি পরিষেবার তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছিল ৭.‌৪০ গিগাহার্জ। যা কিনা পাখি বা অন্যান্য পশুর পক্ষে ক্ষতিকারক।
স্টার্লিং পাখির মৃতদেহগুলি পরীক্ষা করে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে পার্কে ঘটনা ঘটেছে, সেটি ঘিরে ফেলা হয়েছে। ডাচ পুলিশের তরফে সেখানে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভুল করে কোন পশু যাতে ওই পার্কে ঢুকে না পড়ে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেদারল্যান্ডের পরিবেশপ্রেমীরা।

উল্লেখ্য, গতবছর গ্রোনিনজেনসের লোপারসাম এবং সুইজারল্যান্ডে ফাইভ-জি পরিষেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার পরও এমন ঘটনা ঘটেছিল। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল বেশ কিছু গরুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *