স্বামীর মৃত্যু শোক সহ্য করতে না পেরে চিতায় ঝাঁপ দিলেন স্ত্রী

নারী ও শিশু

image_163282.rup-655x360স্বামীর মৃত্যু শোক সহ্য করতে না পেরে চিতায় ঝাঁপ দিয়ে পুড়ে মরলেন ৭০ বছরের এক নারী। ভারতের বিহারের সহরসা জেলায় পারমানিয়া গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।
যদিও মৃতা দয়াদেবীর ছেলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, স্বামীর মৃত্যুশোক সহ্য করতে না পেরে তাঁর মা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাই দু’জনকে একই চিতায় সৎকার করা হয়।
জেলার এসপি পঙ্কজ সিংহ জানিয়েছেন, তিনি নিজে ওই গ্রামে গিয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলেছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, অনেক দিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন চরিত্র যাদব। শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়। পরিজনরা গ্রামের একটি শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য করতে যান। তখন নিজের বাড়িতেই ছিলেন দয়াদেবী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর পুত্রবধূ। শ্মশান থেকে ফিরে আসার পরে মৃতের ছেলে রমেশ মণ্ডল ও অন্য পরিজনরা স্নান করতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার পর মায়ের খোঁজ করেন রমেশবাবু। কিন্তু দয়াদেবীকে পাওয়া যায়নি।
খোঁজ করার সময় কয়েক জন গ্রামবাসী জানান, দয়াদেবীকে গ্রামের শ্মশানের দিকে যেতে দেখা গিয়েছে। কয়েক জন বাসিন্দা দাবি করেছেন, দ্রুত শ্মশানে পৌঁছান রমেশবাবুরা। কিন্তু তাঁদের চোখের সামনেই স্বামীর চিতায় ঝাঁপ দেন ওই নারী। কেউ তাঁকে আটকানোর সুযোগ পাননি।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালের ভারতের রাজস্থানের শিকার জেলার দেওরালা গ্রামে স্বামীর সঙ্গে ‘সহমরণে’ গিয়েছিলেন রূপ কানোয়ার। পরে তদন্তের ভিত্তিতে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে রূপকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে মামলা করেছিলো পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *