ঢাকা: টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের মূল পরীক্ষায় অংশ নেবার সুযোগ করে দেয়া এবং এসএসসি পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায় করাকে দুর্নীতি হিসেবে উল্লেখ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আর এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার কথাও জানান দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সেগুন বাগিচা প্রধান কার্যালয় থেকে থেকে বের হওয়ার সময় দুদক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, যেসব স্কুল এই অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে, তারা মামলাযোগ্য অপরাধ করেছে। এর বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নেবে। ইতিমধ্যে এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুদক এধরণের দুর্নীতি মোকাবেলা করতে একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইকবাল মাহমুদ আরো বলেন, এ বছরের শুরুতেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষাবোর্ড ও মন্ত্রিপরিষদকে এ বিষয়ে সুপারিশ দিয়েছিলাম। অথচ এখন প্রতিদিনই আমাদের কাছে হাজার হাজার এমন অভিযোগ আসে।
আমরা অ্যাকশনে নেমেছি। জেলা অফিসগুলোকে তৎপর করেছি। এমনকি জেলা প্রশাসকদের লিখিত ব্যবস্থা নিতেও বলেছি।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষা সচিব আজ আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নির্লজ্জ, অবিবেচক মানুষগুলো শিক্ষকতার নামে কি ভয়ানক অপরাধ করে চলেছেন প্রতিদিন। এক বিষয়ে শুধু না আরো বেশি বিষয়ে টেস্টে অকৃতকার্য হলেও বাচ্চারা হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে সেন্টারে চলে যাচ্ছে। তারা তাদের পাসও করিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু পাস করানো তো বিষয় নয়। আমাদের শিশুদের দরকার পড়াশোনা। সে যদি অকৃতকার্য হয়ে সেন্টারে চলে যায়, তবে সে শিখবে কেনো? আমরা তো বাচ্চাদের কোয়ালিটি এডুকেশন চাই। তারা যদি পড়ার টেবিলে যাওয়ার তাগিদ অনুভব না করে, তাহলে তারা শিখবে কেনো?