গাজীপুরের চারটি আসনেই অতিরিক্ত নিরাপত্তা দরকার!

Slider টপ নিউজ

গাজীপুর: গাজীপুর জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটি আসনেই দলীয় মনোনয়ন দানের পর সহিংসতার আশংকা বিরাজ করছে। দল, সরকার ও নির্বাচন কমিশন আগাম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে শৃঙ্খলা অবনতি হতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।

পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, গাজীপুর-১(কালিয়াকৈর) আসনে মহাজোটের মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে নিজ দলীয় তিনজন প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে কালিয়াকৈর থেকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার দাবি করায় মন্ত্রী বেকায়দায় পড়েন। এই আসনে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার পর স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে স্থানীয়দের আশংকা।

গাজীপুর-৩(শ্রীপুর) আসনে মহাজোটের দুই প্রার্থী ইকবাল হোসেন সবুজ ও জামিল হাসান দুর্জয়ের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে। প্রতি ২৪ ঘন্টায় একাধিকবার মনোনয়ন লাভের গুজবে এই দুই পক্ষ রাজপথে মিছিল ও মিষ্টির উৎসব করছে। একই আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নিয়েও সমস্যা আছে। বিএনপি থেকে প্রার্থী না আসলে সহিংসতার আশংকা দেখা দিতে পারে।

গাজীপুর-৫(কালিগঞ্জ) আসনে মহাজোটের দুই প্রার্থীর মধ্যে বিরোধ তুঙ্গে। বর্তমান প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামানের সমর্থকদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষও হয়ে গেছে। এই আসনে মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী আজম খানও তৎপর। ইতোমধ্যে আজম খানের গাড়ি বহরে হামলাও হয়েছে। এখানে মহাজোটের একজন মনোনয়ন পাবেন আর বাকী দুই প্রার্থী নাখোশ হলে সহিংসতারও জন্ম হতে পারে।

এ ছাড়াও গাজীপুর-৪(কাপাসিয়া) আসনে বর্তমান সাংসদ সিমিন হোসেন রিমিকে নিজ দলের নেতা আলম আহমেদ প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ ছিল। তাই মনোনয়নের পর সহিংসতার আশংকা সৃষ্টি হতে পারে।

এই অবস্থায়, দলীয় মনোনয়ন দেয়ার পর গাজীপুর জেলার চারটি আসনে অতিরিক্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত বলে সাধারণ মানুষ মনে করে।

অবশ্য ইতোমধ্যে গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাপাসিয়ায় সভা করে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত ও যে কোন সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর হুসিয়ারী উচ্চারণ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *